14.5 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

টাকা থাকলে প্রত্যেককে ২ কোটি করে দিতাম: সালাউদ্দিন

টাকা থাকলে প্রত্যেককে ২ কোটি করে দিতাম: সালাউদ্দিন - the Bengali Times

ইতিহাস গড়ে সাফের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এজন্য তাদের আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ফুটবল মহলে। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন বাফুফে প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমি তো পারলে প্রত্যেককে ২ কোটি টাকা করে দিয়ে দিতাম। তবে সেটা সম্ভব না।’ বাফুফে ভবনে আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাফজয়ী মেয়েদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

- Advertisement -

সানজিদা-সাবিনাদের সাফল্যে উচ্ছ্বাসে ভাসছে পুরো দেশ। সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে আলোচনায় তাদের পারিশ্রমিক। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পারিশ্রমিক অনেক কম। সবাই কথা বলছেন মেয়েদের পারিশ্রমিক বাড়ানোর বিষয়ে। মেয়েদের বেতন কাঠামোতে পরিবর্তন আনা দরকার বলে মনে করেন খোদ বাফুফে সভাপতিও। তিনি মনে করেন, সাফ জয়ী মেয়েদের বেতন কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে স্পন্সর প্রয়োজন।

বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘আমরা স্পন্সর থেকে এখন যে অর্থ পাচ্ছি সেটা দিয়ে মেয়েদের ভালোভাবে দেখভাল করছি। আরও ভালো স্পন্সরশিপ অ্যামাউন্ট পেলে নিশ্চয়ই ওদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হবে।’

মেয়েদের বেতনের বাইরে বাফুফে প্রতি মাসে খাওয়া, কোচিং স্টাফদের বেতন, খেলোয়াড়দের সরঞ্জাম, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যাওয়ার খরচ বহন করে। সবই আসে স্পন্সর প্রতিষ্ঠান থেকে; বছরে যা প্রায় ৪ কোটি টাকা। যদিও ছেলে এবং মেয়ে ফুটবলারদের বেতনের তুলনা টানতে নারাজ তিনি।

সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেন ছেলেদের ফুটবলে বেতন অনেক বেশি, মেয়েদের কম কেন? কিন্তু ছেলে-মেয়েদের সমান বেতন তো হতে পারে না। এমবাপ্পে সাইনিং পায় ৩০ মিলিয়ন, আর মেয়েদের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলার পায় ৪ মিলিয়ন। এখানে পার্থক্য থাকবেই।’

তবে ফুটবল খেলে মেয়েদের আর্থিক উন্নতি হয়েছে বলে জানান সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এই মেয়েরা যখন প্রথম আসছে তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। আজকে ওই মেয়েগুলার কাছে বাসায় দুইটা-তিনটা টিভি, চারটা মোবাইল, ব্যাংক-ব্যালেন্স, জমি আছে। এগুলো ফুটবল খেলে হয়েছে। এই ইমিপ্যাক্টটা ওরা দেখেছে। ওদের দেখাদেখি নতুন মেয়েরাও আসবে।’

সূত্র : আমাদের সময়

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles