সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কুর্দি বাহিনীর হাতে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ধরা পড়েন মোহাম্মদ খলিফা নামে এক কানাডিয়ান। এফবিআই তাকে কুর্দি বাহিনীর কাছ থেকে তাদের হেফাজতে নেয় এবং বিচারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা হবে তাকে। ইউএস বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র তাকে আইসিসের একজন নেতৃস্থানীয় যোদ্ধা এবং আইসিসের প্রোপাগান্ডার অনুবাদক হিসেবে অভিযুক্ত করেছে। তাকে আইসিসের বিভিন্ন নিয়োগ সম্পর্কিত ভিডিওর ইংরেজি ভাষী বক্তা হিসেবেও তাকে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দোষী সাব্যস্ত হলে তার যাবজ্জীবন কারাদ- হতে পারে।
আবু রিদওয়ান আল কানাদি নামে পরিচিত টরন্টোর সাবেক বাসিন্দা খলিফা প্রথম কানাডিয়ান সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের সহায়তায় যাকে গ্রেপ্তারের পর বিচারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হলো। রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশেরও (আরসিএমপি) তদন্তাধীনে ছিলেন খলিফা। তবে বিচারের জন্য কোনো আইসিস সদস্যকে সিরিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব বাতিল করে দেয় লিবারেল সরকার।
গ্লোবাল নিউজের জন্য ২০১৯ সালে খলিফার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা আইন বিশেষজ্ঞ লিয়াহ ওয়েস্ট। তিনি বলেন, আমি এটা জেনে আনন্দিত যে, যুক্তরাষ্ট্রের সেই রাজনৈতিক সাহসটা আছে যেটা কানাডার নেই। তিনি একজন কানাডিয়ান এবং কানাডা ছেড়ে গেছেন। অপরাধের জন্য তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা কানাডিয়ান সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু কানাডিয়ান সরকার বরাবরই তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অনুযায়ী, খলিফা ২০১৩ সালের গোড়ার দিকে সিরিয়া সফর করেন এবং সংগঠনটির তৎকালীন প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে ওই বছরের নভেম্বরে আইসিসে যোগ দেন। ২০১৪ সালে তাকে আইসিসের মিডিয়া উইংয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়।