17.5 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

সামনে কর্মকর্তারা, পেছনে সাবিনারা: সমালোচনা ফেসবুকে

সামনে কর্মকর্তারা, পেছনে সাবিনারা: সমালোচনা ফেসবুকে - the Bengali Times
ছবি সংগৃহীত

তারা লড়াই করেছেন। দেশের জার্সি গায়ে নেপালে গড়েছেন ইতিহাস। হিমালয় কন্যাদের হারিয়ে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের অধরা শিরোপা তারা জয় করেছেন। মাঠে তারা শুধু ফুটবলার হয়ে খেলেননি। বাংলাদেশের ১১ জন যোদ্ধা হয়ে তারা শেষ বাঁশি বাজার আগ অবধি লড়েছেন। সেই চ্যাম্পিয়ন দলকে বিমানবন্দর থেকে ছাদখোলা বাসে করে বাফুফে ভবনে নিয়ে আসা হয়। তবুও সমালোচনা পিছু ছাড়েনি বাফুফের।

বিমানবন্দর থেকে বাসে চার ঘন্টার যাত্রা বাফুফে ভবনে পৌছান সাবিনা খাতুনরা। সেখানে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। এছাড়া বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদীসহ আরও অনেকে। তারা সবাই সামনে চেয়ারে বসেছিলেন। কর্মকর্তাদের ঠিক পেছনেই দাঁড়িয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড়রা। বসতে দেওয়া হয়নি খোদ নারী জাতীয় দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনকেও।

- Advertisement -

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনের এই ছবি ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা বাফুফের এমন আচরণের সমালোচনা করেন। তাদের মতে চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ ও অধিনায়ককে বসতে দেওয়া উচিত ছিল।

রাজা নুরুল নামে একজন লিখেছেন, খুব আগ্রহ নিয়ে সাফ জয়ী মেয়েদের বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলন দেখা শুরু করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমি ধৈর্য ধরে রাখতে পারিনি। খুব ভোরে নেপালের হোটেল ত্যাগ করে বিমানবন্দর। তারপর ঢাকায় অবতরণ। প্রখর রোদেলা তাপমাত্রায় বিমানবন্দর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চার ঘণ্টা যাত্রা করে বাফুফে ভবনে পৌঁছায় তারা। অথচ খেলোয়াড় আর কোচরা সংবাদ সম্মেলনের সময় পেছনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়! কেন তাদেরকে সাধারণ এই সম্মানটা দেওয়া যেত না? আমি যদি আজ সন্ধ্যায় এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকতাম, তবে সেটা অবশ্যই বর্জন করতাম।

শুধু সংবাদ সম্মেলনেই নয়। মেয়েদের এই সাফল্যে ক্যামেরার সামনে সর্বদাই হাজির ছিলেন বাফুফে কর্তারা। মেয়েদের সব ফোকাস নষ্ট হয়ে যাবে ভেবে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন যাননি বিমানবন্দরে। অথচ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ অন্যান্য শীর্ষ কর্তাদের ঠিকই বিজয়ের মালা গলায় জড়িয়ে ক্যামেরার সামনে এসে আলো কাড়তে দেখা গেছে। এতে আড়ালেই চলে যান নারী সাফ জয়ী খেলোয়াড়েরা।

বিমানবন্দরের আরও একটা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলসহ অনেক কর্মকর্তারা সাফজয়ী নারী দলের সঙ্গে ফটোসেশন করেন। কিন্তু সামনে থাকা কর্মকর্তাদের দাঁড়ানোতে মেয়ে ফুটবলারদের চিনতে পারাই কষ্টকর।

সেই ছবি পোস্ট করে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন লিখেন, চমৎকার ফটোগ্রাফী। ক্যামেরায় ওয়াইড এঙ্গেল লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে সম্ভবত। আলোর প্রক্ষেপণ খুবই সুন্দর। কালার কম্বিনেশন চমৎকার এবং অনেক হাই পিক্সেল ছবি। ক্যামেরাম্যানকে ধন্যবাদ। আমাদের বিজয়ী বাচ্চাদের হাসিমাখা মুখগুলো স্পষ্ট দেখে অন্তরটা শীতল হয়ে গেল।

সেই ছবিতে সু্প্রিতি ধর নামে একজন কমেন্ট করেছেন, ‘বাহ্, কী সুন্দর ছবি! মেয়েদের দেখাই যায় না।’ আতিকুল ইসলাম নামে আরও একজন ব্যবহারকারি লিখেছেন, বাফুফে তার জাত চেনালো।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles