
কানাডায় গত মাসে সাবেক এক আবাসিক স্কুলে দুই শতাধিক শিশুর গণকবর পাওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে আরও একটি আদিবাসী স্কুলের পাশে গণকবরের সন্ধানপাওয়া গেলো। আদিবাসী যুবকদের ‘মূল ধারায়’ অঙ্গীভূত করার লক্ষ্য নিয়ে ১৯ এবং ২০ শতকের দিকে কানাডা সরকার ও ধর্মীয় কর্তৃপক্ষরা এমন আবশ্যিক বোর্ডিং স্কুল পরিচালনা করতো। কানাডার এক আদিবাসী গোষ্ঠী জানিয়েছে, সাসকাচোয়ান প্রদেশের সাবেক এক আবাসিক স্কুলের পাশে তারা অচিহ্নিত কয়েকশ কবর খুঁজে পেয়েছে। তবে নির্দিষ্ট করে কবরের সংখ্যা জানাতে পারেনি গোষ্ঠীটি। কর্তৃপক্ষ বুধবার জানায়, নতুন করে এই কবরের আবিষ্কার, ‘কানাডার ইতিহাসে অন্যতম উল্লেখযোগ্য দেহাবশেষ সন্ধানের ঘটনা।’
আদিবাসী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সংবাদ সম্মেলন করে তারা সাসকাচোয়ান প্রদেশে এই `নিষ্ঠুর ও আঁতকে ওঠার মতো’ কয়েকশ অচিহ্নিত কবরের সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি জানাবে। গত ২৮ মে কানাডায় পরিত্যক্ত এক আবাসিক স্কুলে ২১৫ জন শিশুর গণকবর পাওয়া যায়। জায়গাটি ছিল আদিবাসীদের।
ওই শিশুরা ছিল ব্রিটিশ কলম্বিয়ার কামলুপস ভারতীয় আবাসিক স্কুলের ছাত্র। স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায় ১৯৭৮ সালে। আদিবাসী গোষ্ঠীর এক প্রধান শিশুদের এই গণকবর উদ্ধারের বিষয়টি বিবৃতি দিয়ে জানান।
হঠাৎ করে আবিষ্কৃত হওয়া এমন বিষাদমাখা ইতিহাসকে ‘বেদনাপূর্ণ স্মৃতিচিহ্ন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সেই সঙ্গে একে ‘দেশের ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায়’ হিসেবেও স্বীকার করেন তিনি।
‘ফার্স্ট নেশন’ হিসেবে খ্যাত কানাডার আদিবাসী দল সম্প্রতি কাজ করছে জাদুঘর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে। আর এই কাজ করতে গিয়ে শিশুদের এই গণকবরের হদিস পাওয়া যায়। শব পরীক্ষক অফিস ওই শিশুদের মৃত্যুর কারণ ও সময় বের করার চেষ্টা করছেন।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার শহর কামলুপসের আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রধান রোজান কাসিমির জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে যে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ জানা গেছে তা স্কুলের প্রশাসন কখনো নথিভুক্ত করেনি।