
এলিয়েটে লেভেস্কের বয়স যখন আট বছর তখন রাজ পরিবারের সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। কিন্তু তিনি ভবিষ্যৎ রানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এটা কখনই মনে হয়নি।
১৯৫১ সালের হেমন্তে তখনকার প্রিন্সেস এলিজাবেথ ও তাঁর স্বামী প্রিন্স ফিলিপ ৩৩ দিনের কানাডা সফরে আসেন। সফরকালে তাঁরা পেপার ও পাল্প মিলের জন্য সুপরিচিত অন্টারিওর কাপুস্কাসিংয়ে থামেন। সে সময়কার গভর্নল জেনারেল হ্যারল্ড আলেক্সান্ডারের অনুরোধে ওই সফর করেছিলেন তাঁরা।
রানীকে ফুলের তোড়া উপহার দেওয়ার জন্য যাদের নির্বাচন করা হয় বর্তমানে ৭৮ বছর বয়সী লেভাস্ক ছিলেন তাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। সেই দিনের কথা তিনি মনে করেন রানীর মৃত্যুর পর।
১৯৫১ সালে রানীর সফরটি ছিল অনেক প্রত্যাশার এবং কয়েক সপ্তাহ ধরে তার প্রস্তুতির কথা স্মরণ করছিলেন লেভাস্ক। তিনি বলেন, কীভাবে সৌজন্যতা দেখাতে হয়, কি বলতে হয় সপ্তাহে অন্তত এক বা দুইদিন তাকে তা শেখানো হতো। ছয় মাস ধরেই এই অনুশীলন চলে।
১৫ অক্টোবর লেভাস্ক কাপুস্কাসিং ইনের সামনে রানীর হাতে দুই ডজন হুলুদ গোলাপ তুলে দেন। প্রিন্সেস সে সময় বলেছিলেন, এগুলো আমার জন্য?
কয়েক মাস ধরে চর্চার পরও ভুল করে ফেলেন লেভাস্ক এবং ইয়েস, ইওর ম্যাজেস্টি বলার পরিবর্তে শুধু ইয়েস বলে ফেলেন। এরপর প্রিন্সেস হেসে তঁকে ধন্যবাদ দেন। পরদিনই লেভাস্ক ও প্রিন্সেসের ছবি স্থানীয় খবরের কাগজে ছাপা হয়। এর চারমাসেরও কম সময়ের মধ্যে তাঁর পিতা রাজা ষষ্ঠ জর্জ মারা গেলে প্রিন্সেস হয়ে যান রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
হ্যামিল্টনে বসবাসকারী লেভাস্ক বলেন, রানীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি কষ্ঠ পেয়েছেন। ১৯৫১ সালের ওই দিনের কথা আমার অনেক বেশি মনে পড়ছে। তিনি ছিলেন খুবই দয়ালু ও বন্ধুবৎসল।