
একটি ফুড নেটওয়ার্কের বিচারক ও জর্জ ব্রাউন’স কালিনারি স্কুলের সাবেক পরিচারক টরন্টোর শেফ জন হিগিন্স বাকিং হাম প্যালেস ও বালমোরাল ক্যাসেলে ছিলেন দুই বছর। এই সময়টাতে তিনি রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্য রান্না করেছেন। রানীর মৃত্যুল পর সেই স্মৃতিই স্মরণ করেছেন তিনি।
জনপ্রিয় শেফ জন হিগিন্স বলেন, আমি সত্যিই মর্মাহত। আমার মনে হয় এটা ইতিহাসের অংশ একটা ডাইন্যাস্টির সমাপ্তি।
বাকিংহাম প্যালেস ও বালমোরাল ক্যাসেলে ১৯৮০ এর দশকে কাটানো দুই বছরের কথা বলতে গিয়ে হিগিন্স বলেন, রানী হাঁসের মাংস, আম ও চকোলেট কেক খুব পছন্দ করতেন।
রানীর সঙ্গে তাঁর যেসব স্মৃতি রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে কিছু একেবারেই আলাদা। হিগিন্স ছিলেন একজন সাইক্লিস্ট এবং বালমোরাল থেকে বেরিয়ে সাইকেল চালিয়ে রানীকে অতিক্রম করে যেতেন। রানী সে সময় বলতেন, তুমি কি বাইক চলানোর জন্য বেরিয়েছ? রানীর সামনে তাঁর রুট পরিকল্পনার কথা জানালে তিনি হেসে বলতেন, আমারও মেখানে গাড়ি চালাতে ইচ্ছা করে। কিন্তু সেখানে অনেক পাহাড়।
আরেকটি ঘটনার কথা বর্ণনা করেন হিগিন্স এবং স্টো ছিল স্কটিশ কাউন্টি নৃত্যু পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কর্মীদের ধন্যবাদ জানানোর বহু পুরনো প্রথা বার্ষিক ঘিলিস বল। সেখানে তিনি রানী ও রাজপরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নেচেছিলেন। হিগিন্স বলেন, দিন শেষে রাজপরিবারের লোকজনও সাধারণ মানুষই। প্রতিদিনই তাঁরা ঘুম থেকে উঠে দাত ব্রাশ করেন হয়তো। সাধারণ মানুষ যা যা করে তার সবই তাঁরা করেন। তারপরও কিছু বিষয় আছে যেগুলো তাঁদেরকে করতেই হয়। পুরো বিষয়গুলোকে আঠার মতো আটকে রেখেছিলেন রানী। তিনি ছিলেন সবগুলো পৃষ্ঠাকে একসঙ্গে রাখার বন্ধন।