9.9 C
Toronto
রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫

এয়ার কানাডায় ভ্রমণ করে বিপত্তি

এয়ার কানাডায় ভ্রমণ করে বিপত্তি
ফাইল ছবি

এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটে তেল আবিবে যাওয়ার সময় তাঁর হুইল চেয়ারটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন টরন্টোর এক নারী। স্পাইনাল মাসকুলার অ্যট্রোফিতে ভোক্তা উদ্যোক্তা ও অধিকার কর্মী মায়ান জিভ বলেন, তেল আবিবের একটি সম্মেলনে যোগ দিতে ৭ সেপ্টেম্বর টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি যাত্রা করেন।

জিভ বলেন, পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে চার ঘণ্টা আগেই আমি বিমানবন্দরে পৌঁছে যায়। আমি জানতাম যে সময় বেশি লেগে যাওয়ার নানা কারণ রয়েছে এবং আমাকে হুইলচেয়ারটি প্যাক করে আগে উড়োজাহাজে উঠতে হবে। সে অনুযায়ী বিমানবন্দরে আসার আগেই আমি হুইলচেয়ারের আকৃতি এয়ার কানাডাকে জানিয়ে দিই। এয়ারালাইন্সের কর্মীদের হাতে তা হস্তান্তরের আগে ভালো করে মুড়িয়েও দিই।

- Advertisement -

কিন্তু তেল আবিবে অবতরণের পর তিনি হুইলচেয়ারটি ভাঙা দেখতে পান। তিনি বলেন, সকাল ১০টায় আমি তেল আবিবে পেঁৗঁছাই এবং হুইলচেয়ারটি ভাঙা অবস্থায় দেখতে পাই। কীভাবে এটা হলো কেউ-ই তা জানাতে পারেনি। পরে আমাকে বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট করতে হয়।

এয়ার কানাডা এখন এই ক্ষতির পুরো অর্থ পরিশোধ করতে রাজি হয়েছে। জিভ বলেন, এয়ারলাইনের তরফ থেকে প্রাথমিকভাবে তাঁকে ৩০০ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। এতে আমি অপমাণিত ও ক্রুদ্ধ হয়েছি। শেষ পর্যন্ত তারা পুরো মেরামত খরচ দিতে রাজি হয়েছে। কিন্তু এই ক্ষতি আমার পুরো ট্রিপটিকেই বিপত্তিকর করে তুলেছে। আমার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়েছে এবং হুইলচেয়ারটি মেরামত করতে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে।
এ ব্যাপারে এয়ার কানাডার মন্তব্য জানতে চাইলে সিটিভি নিউজ টরন্টোকে তারা বলে, চলার জন্য সহায়তা প্রয়োজন এমন হাজারো যাত্রী প্রতি বছর তারা বহন করছে। এ ধরনের ভ্রমণ যাতে নির্বিঘœ হয়, সে ব্যবস্থাও তাদের রয়েছে।

কোম্পানির তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই ঘটনাটির ক্ষেত্রে দুঃখজনকভাবে আমরা আমাদের স্বাভাবিক যে সেবা তার সর্বোচ্চটা দিতে পারিনি। এই যাত্রীর উদ্বেগের বিষয়টি আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। ক্ষতি সারাতে বিশেষায়িত হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করা এর মধ্যে অন্যতম। গ্রাহককে আমরা একটি ভাইচার দেওয়ার প্রস্তাব করেছি। হুইলচেয়ারটির মেরামত নিশ্চিত করতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এয়ার কানাডা।

টরন্টোর বাসিন্দা অ্যান্থনি টম্প্রসের হুইলচেয়ারটি গত বছর অন্য দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং তিনি এতে হতবাক হয়ে যান। গ্রিস থেকে কানাডায় আনার পরিবর্তে সেটি জার্মানিতে পাঠানো হয়। পাঁচদিন পর যখন হুইলচেয়ারটা কানাডায় আসে তখন সেটি ভাঙা ছিল।
কানাডিয়ান জার্নাল অব ডিসঅ্যাবিলিটি প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে হুইলচেয়ারের বিষয়টিতে কানাডার এয়ারলাইনগুলোকে যতœবান হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles