
গ্রেটার টরন্টো এরিয়ার (জিটিএ) আবাসন বাজারে আগস্টে প্রাণ ফিরতে দেখা গেছে। কয়েক মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো গড় বেঞ্চমার্ক মূল্য বেড়েছে। যদিও মূল্যসংশোধন এখনও শেষ হয়নি বলে সতর্ত করে দিয়েছে আরবিসি।
আরবিসির সহকারী প্রধান অর্থনীতিবিদ রবার্ট হগ এই বলে সতর্ক করে দেন যে, আগামী মাসে প্রত্যাশিত সুদের হার বৃদ্ধি অনেক ক্রেতাকেই আবাসন ঋণ গ্রহণের অযোগ্য করে তুলবে। অন্যরা পেলেও পরিমান সংকুচিত হয়ে আসবে। এর ফলে আবাসন বাজারের মূল্য সংশোধন পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে, মার্চ থেকেই যা চলছে এবং বসন্তের আগে বন্ধ হওয়ার কোনো লক্ষ্যণ নেই।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের শুরুর দিকে উচ্চ সুদের হারের সঙ্গে আবাসন বাজার সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে বলে আমরা মনে করি। চাহিদা-জোগানের সূত্র যাতে সঠিকভাবে কাজ করে সেজন্য বেশ কয়েক মাস লেগে যাবে বলেই মনে হয়। আমাদের ধারণা, জাতীয়ভাবে বাড়ির সর্বোচ্চ যে দাম বেঞ্চমার্ক দাম তার থেকে ১৪ শতাংশ কমে আসবে। প্রদেশভিত্তিক হিসেবে, সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে বাড়ির দাম সবচেয়ে বেশি কমবে অন্টারিও এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় -১৬ শতাংশ করে। অন্যদিকে আলবার্টা ও সাস্কেচুয়ানে কমবে -৪ শতাংশ করে।
জিটিএতে বাড়ির মূল্যসূচক চলতি বছরের গোড়ার দিকে টানা পাঁচ মাস হ্রাস পায়। তবে আগস্টে জুলাইয়ের তুলনায় ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকে এর মধ্যে বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গি দেখতে পাচ্ছেন। যদিও হগ বলছেন, সামনের মাসগুলোতে ক্রেতারা রক্ষণাত্মক অবস্থানে থাকবেন। কারণ, ব্যাংক অব কানাডা সুদের হার আরও বাড়াতে পারে।
মূল্যস্ফীতি কমাতে ব্যাংক অব কানাডা এরই মধ্যে সুদের হার দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ দশমিক ২৫ শতাংশে উন্নীত করেছে। ডিসেম্বরের মধ্যে সুদের হার ৪ শতাংশে পৌঁছে যাবে বলে হগ তার নোটে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, সম্ভাব্য অনেক ক্রেতার সামনে বাড়ির কেনার সম্ভাবনাটা ধূষর হয়ে যাচ্ছে। আগে ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির পর কিছুটা হ্রাস ক্রেতাদের স্বস্তি দিলেও উচ্চ সুদের হার তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে।
জিটিএতে আগস্টে সব ধরনের বাড়ির গড় বিক্রয় মূল্য ছিল ১০ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ ডলার, এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় যা দশমিক ৯ শতাংশ বেশি।