
সড়কের নামটি দেখে ব্যথিত হন র্যান্ডি গুজার। দুই দশক আগে এই সড়কেই থাকতেন তার সাবেক প্রেমিকা।
দক্ষিণ অন্টারিওর পুসলিঞ্চ টাউনশিপের ব্যক্তিগত সড়কটির নাম স্বস্তিকা ট্রেইল। নামটি কেন এখনো পরিবর্তন করা হয়নি, সেটা ভেবে বিস্মিত হন গুজার। তিনি বলেন, আমার জন্য এটা বেদনার ও বিরক্তির।
প্রেমিকাকে বিয়ে করে এই সড়কের বাসিন্দা হন গুজার এবং প্রেমিকার বাড়িতেই ওঠেন। তিনি বলেন, বছরের পর বছর ধরে চেষ্টার পর অবশেষে নামটি বদলাচ্ছে। কারণ, নাম বদলের পক্ষে টাউনশিপ ভোট দিয়েছে। এটা সত্যিই সব কানাডিয়ানের বিজয়। আমাদের কমিউনিটির জন্য কিছু অবদান রাখার দারুণ ইচ্ছা আছে আমাদের মধ্যে এবং এটা সব সময় থাকবে।
পুসলিঞ্চ লেকের কাছে স্বস্তিকা ট্রেইলের নামকরণ করা হয় ১৯২০ এর দশকে। গুজারসহ বিভিন্ন ব্যক্তি সড়কটির নাম নিয়ে বছরের পর বছর ধরে অভিযোগ করে আসছিলেন। তাদের যুক্তি, স্বস্তিকা এমন একটি প্রতীক, যা ঘৃণা, শে^তাঙ্গ আধিপত্যবাদ ও ইহুদিবিদ্বেষের পরিচায়ক।
টাউনশিপের ভোটাভুটিতে সড়কটির নাম পরিবর্তনের পক্ষে ভোট পড়ে চারটি ও বিপক্ষে একটি। নাম পরিবর্তনের পক্ষে থাকা কাউন্সিলর জন সেপালিস বলেন, সড়ক থেকে নামটি উঠে যাবে ভেবে আনন্দ হচ্ছে। দীর্ঘদিন পরে এটা হতে যাচ্ছে।
সড়কটির নাম পরিবর্তনের প্রথম প্রস্তাবটি আসে ২০১৭ সালে। কিন্তু সর্বসম্মতভাবে সেটি বাতিল হয়ে যায়। পাঁচ বছর টাউনশিপের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয় এবং নতুন তিনজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। আরেকটি বিষয় এক্ষেত্রে কাজ করেছে এবং তা হলো গত জুলাইয়ে কাউন্সিল জনগণকে সড়কের নাম প্রস্তাবের অনুমতি দেয়।
সড়কটির নাম পরির্বতনের দাবি জানিয়ে আসছিল দ্য ফ্রেন্ডস অব সিমন ভাইজেন্থাল সেন্টার ফর হলোকস্ট স্টাডিজ। টাউনশিপের এ সিদ্ধান্তকে তারাও সাধুবাদ জানিয়েছে।
সংস্থাটির নীতি বিষয়ক পরিচালক জেইম কার্জনার-রবার্টস বলেন, স্বস্তিকা ট্রেইলের নাম পরির্বতনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পাঁচ বছর পর পুসলিঞ্চ কাউন্সিল সঠিক সিদ্ধান্তটি নিল। সড়কটির নাম পরির্বতনের লড়াইয়ে যারা কখনোই পিছু হটেননি সেইসব বাসিন্দাদের আমরা ধ্যনবাদ জানাই। টাউনশিপের কর্মীদের কাছেও আমরা কৃতজ্ঞ।
নাম পরিবর্তনের বিপক্ষে একমাত্র ভোটটি দেন টাউনশিপের মেয়র জেমস সিলে। তিনি বলেন, ভোটের ফলাফলের প্রতি আমার সমর্থন রয়েছে। সড়কটির নতুন নাম হচ্ছে হলি ট্রেইল।