5.2 C
Toronto
রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

নিক ঘুমাতেন রাস্তায়, আজ মিলিয়নিয়ার

নিক ঘুমাতেন রাস্তায়, আজ মিলিয়নিয়ার - the Bengali Times
ছবি সংগৃহীত

গল্পটার শুরু হয় রোমানিয়া থেকে। নিকের দাদি তাকে ৫০০ ডলার দিয়েছিলেন। সেটি নিয়েই তিনি চলে গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। ২১ বছর বয়সী নিক তখন ভেবেছিলেন, মার্কিন মুলুকে গিয়েই বদলে যাবে তার ভাগ্য। পেয়ে যাবেন কাজ। তবে হয়েছে এর উল্টো। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ট্যাক্সি থেকে নেমে ভাড়া বাবদই খরচ হয়ে যায় ১০০ ডলার। তখনই তিনি বুঝে যান, এই শহরে এত কম অর্থ দিয়ে চলা যাবে না। এর পর অবশিষ্ট টাকা নিয়ে কাজের সন্ধানে ঘুরতে থাকেন আমেরিকার শহরজুড়ে। ভালোমতো ইংরেজি বলতে না পারায় ভুগতে হয়েছে তাকে। কাজ না থাকার কারণে নিতে পারেননি কোনো ঘর। এ কারণে লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের রাস্তা কিংবা পার্কের বেঞ্চে ঘুমাতে হতো তাকে।

পথের পাশে কিংবা পার্কের বেঞ্চে শুয়েই অনেক রাত কাটিয়েছেন তিনি। চাকরি কিংবা কাজ- কোনোটাই মিলছিল না। এক সময় পার্কিং লটে গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ পেয়ে যান নিক। কাজের পাশাপাশি সেখানেই ইংরেজি ভাষা শিখতে থাকেন। ওই আয় দিয়েই কোনোমতে আধপেট খেয়ে দিন কাটাতেন তিনি। খরচ কম করতে বার্গার খেতে গিয়ে দোকানদারকে চিজ দিতে নিষেধ করতেন। এতে তার বিল আসত অনেক কম- মাত্র ৭৩ সেন্ট! এভাবেই কাটতে থাকে তার দিন। এর কয়েক মাস পর রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হিসেবে লাইসেন্স জোগাড় করেন। তবে তার আয় তেমন বাড়েনি। ২০১৩ সালে পরিচিত মানুষজনকে দেখে নিক শুরু করেন অনলাইনে ইলেকট্রনিক পণ্যসামগ্রী বিক্রি।

- Advertisement -

ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে বিক্রি। এই ব্যবসা শুরুর পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ব্যবসা শুরুর ৬ মাসের মাথায় দেখলেন, প্রতিমাসে প্রায় তিন হাজার থেকে চার হাজার ডলার আয় হচ্ছে তার। তিনি বুঝে গেলেন ভবিষ্যতে অনলাইন ব্যবসার বাজার মন্দ নয়। তাই গাড়ির পার্কিং লটের চাকরিটা ছেড়ে দেন। এর পর নিজের পুরো সময়টাই দিতে থাকেন তার অনলাইন ব্যবসায়। বাড়তে থাকে অর্ডারের পরিমাণ। সততা ও পরিশ্রমের মাধ্যমেই তিনি গড়ে তোলেন তার প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে আমাজন ও ওয়ালমার্টের অনেক অনলাইন দোকানের মালিক তিনি। সেখান থেকে ৪০ মিলিয়নের বেশি আয় করে থাকে তার প্রতিষ্ঠান। এক সময়ে রাস্তায় ঘুমানো নিক আজ সেলফমেড মিলিয়নিয়ার।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles