রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে আজ দুপুরে শুরু হবে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। তার আগেই শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাত থেকে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে দলে দলে সমাবেশস্থলে জড়ো হচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। অনেকে গত বৃহস্পতিবার এসে সমাবেশস্থল ও আশপাশ এলাকায় অবস্থান করছেন।
শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর মোটর মালিক সমিতির ডাকা ‘দাবি আদায়ের’ পরিবহন ধর্মঘট চলছে। এর ফলে বিভাগের আট জেলা ধর্মঘটের কারণে বাস চলাচল বন্ধ। শুক্রবার সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা রংপুরে আসছেন। সেখানে আসা নেতাকর্মীদের জন্য নগরীর ২০টি স্কুল মাঠে অস্থায়ী প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। এসব প্যান্ডেলে অবস্থান করছেন দলটির কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
এদিকে শনিবার ভোর থেকে বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে আসছেন। ইতোমধ্যে সভামঞ্চ মাইক লাগানোসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দুপুর ১২টার মধ্যেই সভাস্থল পরিপূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
সরেজমিন সকালে দেখা যায়, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে আজ সকাল থেকে হেঁটে দলে দলে সমাবেশস্থলে জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা। দিনাজপুর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিলে স্লোগান দিতে দিতে সমাবেশস্থলে এসেছেন।
রংপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নেতাকর্মীরা বেলা ১১টার মধ্যে সমাবেশস্থলে চলে আসবেন। বিভিন্ন স্থান থেকে সমাবেশস্থলে আসার জন্য রওনা দেওয়া নেতাকর্মীদের নগরীর মর্ডান মোড়, সিও বাজার, বাস টার্মিনাল ও মেডিক্যাল মোড়ে পুলিশ বাঁধা প্রদান করছে। মিছিল করে সমাবেশে আসা যাবে না জানিয়ে নেতাকর্মীদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।’
শুক্রবার ভোর থেকে চলছে পরিবহন মালিক সমিতির ডাকা বাস ধর্মঘট। আজ দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকাগামী বাসসহ আন্তজেলায় কোনও বাস চলছে না। বন্ধ রয়েছে ট্রাক, মিনিবাস, মাইক্রোবাস। রংপুরের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ধর্মঘট চললেও বিভাগের আট জেলা বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাটের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ট্রাক-বাস ভাড়া করে এবং ট্রেনে রংপুরে এসে পৌঁছেছেন বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন