
অন্টারিওর ভ্যাকসিন বুকিং পোর্টালের সমস্যার সামাধান হয়েছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ এ সমস্যা শুরু হয় এবং কত মানুষ এর সম্মুখীন হয়েছে সেটি পরিস্কার করা হয়নি। সমালোচকদের ধারণা, এ সমস্যা লোকজনকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিতে নিরুৎসাহিত করেছে।
ভ্যাকসিন অ্যাপয়েন্টমেন্টপ্রত্যাশাী বিশেষ করে শিশুদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে গেলে প্রায় সময়ই কিছু খুঁজে পাননি বাবা-মায়েরা। কখনো কখনো পুরো টরন্টো সিটিই এ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। কর্তৃপক্ষগুলোর ঘোষণারও পরও এমনটা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিলভিয়া জোন্সের একজন মুখপাত্র বলেন, সমস্যা নিয়ে লিখিত কিছু পাওয়া যায়নি। একই প্রশ্ন পরবর্তীতে আবার করা হলে মুখপাত্র হানাহ জেনসেন সমস্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, প্রাদেশিক বুকিং ব্যবস্থায় দেখা দেওয়া সমস্যা সমাধানের কাজ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অনেক ক্লিনিকেই বুকিং পাওয়া যাচ্ছে এবং তাদেরকে প্রাদেশিক বুকিং সিস্টেমের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
এর পর আরও একাধিক প্রশ্ন করা হলে সেগুলোর উত্তর দেননি জেনসেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি বলেন, সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। সীমিত সংখ্যক ক্লিনিকে এ সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এ সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে এবং সিস্টেমটির মাধ্যমে সমগ্র প্রদেশজুড়ে ক্লিনিকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করা যাচ্ছে।
অন্টারিওর কলিংউডের দুই সন্তানের মা জেনি স্যান্টিন বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে তার চার বছরের মেয়ের দ্বিতীয় ডোজের বুকিং দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। স্থানীয় জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাছ থেকে শোনার পর সপ্তাহে কয়েকবার তিনি চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তারপরও অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত প্রাদেশিক ভ্যাকসিন কন্টাক্ট সেন্টারে যোগাযোগ করে অ্যাপয়েন্ট নিশ্চিত করেন তিনি।
স্যান্টিন বলেন, আমি হতাশ। আমার দুটি ছোট শিশু রয়েছে। অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে সারাক্ষণ পরীক্ষা করার মতো সময় আমার নেই। আমার মনে হয়েছে ব্যবস্থাটি কাজ করছে না। আমাদের বলা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষার জন্য ভ্যাকসিন নিতে। কিন্তু আমরা অ্যাপয়েন্টমেন্ট পর্যন্ত নিতে পারছি না। অথচ বলা হচ্ছে অ্যাপয়েন্ট পর্যাপ্ত রয়েছে।