18.1 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বাবুল আক্তার

দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বাবুল আক্তার - the Bengali Times

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় একদিনের রিমান্ডে পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রবিউল ইসলাম।

- Advertisement -

পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা এই মামলায় বাবুল আক্তারকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মামলা সহায়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। রিমান্ডে দেওয়া তথ্যসমূহ পুলিশ যাচাই বাছাই করছে বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বাবুল আক্তারের উপস্থিতিতে পুলিশের করা সাতদিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হলে আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। এসময় উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) একদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে আটক রাখার আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, বাবুল আক্তারকে একদিনের রিমান্ডে পেয়ে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক দফায় দফায় একাধিকবার মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল আক্তার মামলা সহায়ক বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন। সেসব তথ্য মামলার প্রাথমিক তদন্তে যাচাই বাছাইয়ের জন্য অব্যাহত রয়েছে। বাবুল আক্তার জামিনে গেলে পলাতক হতে পারেন এবং তদন্তে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। জামিনের ঘোর বিরোধিতা করেছি। মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে বাবুল আক্তারকে জেলহাজতে আটক রাখার বিহিত আদেশদানে আদালতের মর্জি হয়।

এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু (৪৫) ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া (৭২)। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

বনজ কুমার এজাহারে উল্লেখ করেন, তার নেতৃত্বাধীন তদন্ত সংস্থা পিবিআই, চট্টগ্রাম মেট্রো দেশের চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলা তদন্তাধীন থাকাকালে প্রধান আসামি হিসেবে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের নাম বেরিয়ে এলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্ত ভিন্ন খাতে নিতে এবং বাংলাদেশ পুলিশ ও পিবিআইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে জেলে থাকা বাবুল আক্তার এবং অপর আসামিরা দেশে ও বিদেশে অবস্থান করে অপরাধমূলক বিভিন্ন অপকৌশল-ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাবুল আক্তার ও অন্য আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ৩ সেপ্টেম্বর বিদেশে পলাতক থাকা অবস্থায় তার ফেসবুক আইডি থেকে ইউটিউব অ্যাকাউন্টে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে, খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে তদন্তাধীন মিতু হত্যা মামলার তদন্তকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে উল্লেখিত ভিডিও প্রচার করেন। আসামি ইলিয়াস হোসাইনের ভিডিওতে প্রচারিত বক্তব্যে দেশের ভাবমূর্তি এবং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উসকানি, বাংলাদেশ পুলিশ এবং পুলিশের বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা পিবিআই ও বিশেষ করে বাদীর (বনজ কুমার মজুমদার) মান-সম্মান ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছে, যা দেশের মানুষের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করে।

সূত্র : জাগো নিউজ

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles