
টালিগঞ্জের স্টুডিও থেকে দিল্লির লোকসভায় তাঁর অবাধ যাতায়াত। টলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম মিমি চক্রবর্তী। জলপাইগুড়ির মেয়ে, তবে বেড়ে ওঠা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কলেজে পড়াশোনার জন্য কলকাতায় আসা।
সেখান থেকেই প্রথম সুযোগ টেলিভিশনে। এখন তিনি সফল। তবে শুরুর দিনগুলো মোটেই মসৃণ ছিল না নায়িকার।
সিনেমা জগতের প্রতি বরাবরই সাধারণ মানুষের বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা আছে। অনেকে যেমন এই জগতের রকমসকম বিরাট জৌলুসময় মনে করেন, তেমনি অনেকেই ভেবে থাকেন এই জগৎ অনেকটা মরীচিকার মতো। মিমির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ঘটনাটি একটু বেশি পরিমাণেই ঘটেছিল। আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত বাড়ির মতো নানা রকমের মন্তব্য শুনতে হয়েছে নায়িকার মা-বাবাকেও।
একটি সিনেমার প্রচারে এসে সেই স্মৃতিগুলোই ফিরে ফিরে আসছিল সাংসদ তথা অভিনেত্রীর। সম্প্রতি শেয়ার করেছেন তেমনই কিছু ঘটনা।
মিমি বলেন, ‘আমার মাকে অনেকেই এসে বলতেন, এই লাইনে আমরা আমাদের মেয়েকে দেব না। আমাদের বাড়িতেও অফার এসেছিল। আসলে এই লাইনে দেওয়া উচিত নয়। ’ শুধু এটুকুতেই শেষ নয়। শুনতে হয়েছিল আরো নানা ধরনের মন্তব্য। কেউ বলেছিলেন, ‘আসলে ওর ছোট মেয়েটার কোনো গুণ নেই তো, তাই এই কাজ করছে। ’
দুঃখ প্রকাশ করে মিমি বলেন, ‘অনেকে বলেছেন আমি প্রেম করি বলে কাজ পাই! একবার ভাবুন তো! এমন অনেক ব্যঙ্গাত্মক কথা সহ্য করেই অভিনয়ে টিকতে হয়েছে। তবে এত বছর পরে চিত্রটা এখন সম্পূর্ণ আলাদা। ’
এই মুহূর্তে বিভিন্ন কারণে চর্চায় রয়েছেন মিমি। কিছুদিন আগেই নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর প্রথম সিনেমার শুটিং শেষ করে ফিরেছেন। তাঁর নতুন সিনেমা ‘খেলা যখন’ মুক্তির অপেক্ষায়।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা