
কারাগারে কৃষ্ণাঙ্গ ও আদিবাসীদের বাড়তি প্রতিনিধিত্ব সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে কানাডা। কিছু কিছু কারাগারের পরিস্থিতি উল্টো এক দশক আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে। কাকেশনাল সার্ভিস অব কানাডার নতুন এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
কারেকশনাল ইনভেস্টিগেটর ইভান জিঞ্জার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অস্বাভাবিক বেশি অর্থায়ন পাওয়া কারাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সি তাদের ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হওয়ায় আমি হতাশ। এতো অর্থ ব্যয়কারী একটি সংস্থার আদিবাসী ও কৃষ্ণাঙ্গ বন্দিদের সংশোধনের এই দুর্বল ফলাফল সত্যিই লজ্জার। এ নিয়ে কানাডিয়ানদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ রয়েছে।
কারেকশনাল সার্ভিস অব কানাডা প্রতি একজন বন্দির বিপরীতে প্রায় ১ দশমিক ২ জন কর্মী মোতায়েন করেছে। বন্দিপ্রতি বছরে খরচ করছে প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার ডলার। অর্থাৎ, বিশে^র সবচেয়ে বেশি অর্থায়ন পাওয়া সংস্থা এটি।
সংস্থাটির দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মার্কো মেন্ডিসিনো বলেন, পুক্সক্ষানুপুক্সক্ষ এই প্রতিবেদনকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। এগুলো সমাধানে বিস্তৃত পরিসরে কাজ হচ্ছে। প্রতিবেদনে উঠে আসা বিষয়গুলোর ব্যাপারে অগ্রগতি নিশ্চিত করতে সিএসসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় আছি। এটা হলে আমাদের ফেডারেল কারেকশনাল সিস্টেম আরও উন্নত হবে। প্রত্যেকে অপরাধীর মর্যাদা ও ভয়মুক্তভাবে সাজা খাটার অধিকার রয়েছে। অর্থাৎ, এমন পরিবেশে এটা হতে হবে যা তাদের পুনর্বাসনে সহায়তা করবে এবং তারাও কানাডিয়ান সমাজে অন্তর্ভুক্তির জন্য নিজেদের প্রস্তুত করবে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কানাডায় মোট কারাবন্দির ৯ দশমিক ২ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ। যদিও মোট জনসংখ্যায় তাদের হিস্যা মাত্র ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। কৃষ্ণাঙ্গ বন্দিদের এক-তৃতীয়াংশের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।