
বিশ্বকাপ মিশনে কাতারে আর্জেন্টিনা দল পা রাখার পর থেকেই মেসিকে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা তুঙ্গে ছিল। ক্যাম্পে যোগ দেয়ার পর থেকে বলতে গেলে আড়ালেই ছিলেন তিনি। প্রথম দিন অনুশীলন করেননি। দ্বিতীয় দিনে একাকী অনুশীলন সেরেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
আর্জেন্টাইন মহাতারকার এই আড়াল যাপন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন সমর্থকরা। তবে কী ইনজুরিতে ভুগছেন? এমন আশঙ্কাও ছিল। তবে সেসব খবর উড়িয়ে দিলেন খোদ মেসি। সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন সোমবার (২১ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন শারীরিকভাবে ভালো বোধ করছেন তিনি।
মেসি বলেন, শারীরিকভাবে আমি খুব ভালো বোধ করছি। কোনো সমস্যা নেই। তিনি বলেন, অনুশীলনে আমার না থাকা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। কিছু কিছু আমার কানেও এসেছে। কিন্তু পূর্বসতর্কতা হিসেবে আমি আলাদা অনুশীলন করেছি। এর বাইরে তেমন কিছু না।
আর্জেন্টাইন অধিনায়ক বলেন, আমরা সিজনের মাঝপথে আছি। যখন খেলা শুরু করবো, তখন পূর্ণছন্দে চলে আসবো। আমি ভিন্ন কিছু করিনি, বিশ্বকাপের আগেও এভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। শুধু নিজের বাড়তি খেয়াল রাখছি।
কাতারে নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নামবেন-আগেই জানিয়েছিলেন মেসি। সংবাদ সম্মেলনে সেটি আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন লিও। বলেন, এটা আমার জন্য স্পেশাল মোমেন্ট। সম্ভবত আমার শেষ বিশ্বকাপ। আমার শেষ সুযোগ, স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার।
টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। সমর্থকদেরও প্রত্যাশা মেসির শেষ বিশ্বকাপটা শিরোপায় রাঙাবে আলবিসেলেস্তে বাহিনী। মেসি বলেন, আমরা একটা টুর্নামেন্ট জিতে এখানে এসেছি। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের কনফিডেন্স বাড়াবে। আমরা সময়টা উপভোগ করতে চাই।
শেষ কয়েক দশকে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সেরা সাফল্যটা এসেছে ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে। সেবার বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেছিল দলটি। যদিও শিরোপা জেতা হয়নি মেসির। তবে এই স্কোয়াড শক্তিসামর্থ্যে ২০১৪ সালের সেই দলের কথাই মনে করিয়ে দেয় আর্জেন্টিনা অধিনায়ককে। তিনি বলেন, এই স্কোয়াডটি সত্যিই আমাকে ২০১৪ সালের কথা মনে করিয়ে দেয়, সেই দলটাও একই রকম শক্তিশালী ছিল। আমরা খুব ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, পিচে আমাদের কী করতে হবে সে সম্পর্কে আমাদের ধারণা খুবই স্পষ্ট ছিল। এত দুর্দান্ত ফর্ম নিয়ে এখানে আসাটা দারুণ এবং এটি আপনাকে আত্মবিশ্বাস দেয়।