ভারতে কুমির প্রজনন কেন্দ্র থেকে এক হাজার ৯৩১ কিলোমিটার দূরের একটি চিড়িয়াখানায় ১০০০ কুমির স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত বছর ভারতের চিড়িয়াখানা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ তামিলনাড়ুর মাদ্রাজ ক্রোকোডাইল ব্যাঙ্ক ট্রাস্ট থেকে গুজরাটের গ্রিনস জুওলজিক্যাল রেসকিউ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে কুমির স্থানান্তরের অনুমোদন দিয়েছে। এরই মধ্যে ৩০০ কুমির স্থানান্তরও হয়েছে।
আট দশমিক পাঁচ একর জমিতে গড়ে তোলা প্রজনন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, কুমিরগুলোকে স্থানান্তর করার কারণ হলো- এখানে তারা সংখ্যাই অনেক বেশি হয়ে গেছে।
অতিরিক্ত ভিড় থাকায় তারা শুধু মারামারি করে।
প্রজনন কেন্দ্রের কিউরেটর নিখিল হোয়াইটেকার জানান, প্রজনন কেন্দ্রে সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রতিবছর শত শত ডিম নষ্ট হচ্ছে। বসবাসের জন্য ভালো পরিবেশ দেওয়ার জন্যই তাদের স্থানান্তর করা হচ্ছে।
কয়েক বছরে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের সুরক্ষিত স্থান এবং চিড়িয়াখানায় কুমির দেওয়া হয়েছে প্রজনন কেন্দ্র থেকে। তবে এই প্রথম বিশাল সংখ্যক কুমির স্থানান্তরের ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে।
গুজরাটের ৪২৫ একর জায়গায় নির্মিত চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কুমিরদের পর্যাপ্ত জায়গা, যত্ন ও খাবার দেওয়া হবে।
চেন্নাই শহরের নিকটবর্তী ওই প্রজনন কেন্দ্র চালু হয় ১৯৭৬ সালে। শুরুর দিকে সেখানে তিন প্রজাতির ৪০টি কুমির ছিল। সংখ্যা বাড়লে সেগুলো পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অবমুক্ত করার পরিকল্পনা ছিল।
তবে ১৯৯৪ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে, প্রজনন কেন্দ্র থেকে কুমির বাইরে অবমুক্ত করা যাবে না। এরপর থেকে সেখানকার কুমির চিড়িয়াখানা কিংবা ‘বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে’ ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি।