
সাত বছর আগে এক নারীকে খুনের অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খুনের অভিযোগে তাদের জেলও হয়। শেষে জানা গেল ওই নারী খুন হননি, জীবিত রয়েছেন। বর্তমানে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে থাকছেন তিনি।
সেখান থেকে ওই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ভারতের রাজস্থানের মথুরার।
মথুরা পুলিশ জানায়, ওই নারীর নাম আরতী দেবী। ২০১৫ সালে পরিবারের অমতে সোনু সাইনি নামের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর একই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর তিনি নিখোঁজ হন। সেই ঘটনায় আরতীর বাবা সুরজ প্রকাশ গুপ্ত নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তে নামে পুলিশ। ওই বছর আরতীর পোশাক এবং ছবির ভিত্তিতে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুরজ প্রকাশ মরদেহটি তার মেয়ের বলে শনাক্ত করেন।
২০১৬ সালের মার্চ মাসে এই ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। খুনের অভিযোগে আরতীর স্বামী সোনু সাইনিসহ আরো দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন―ভগবান সিং ও অরবিন্দ পাঠক।
এদিকে গ্রেপ্তারের পর সোনু সাইনির ১৮ মাস এবং ভগবান সিংয়ের ৯ মাস জেল হয়। অন্যদিকে মামলাটি সমাধান করার জন্য মথুরা পুলিশকে পুরস্কৃত করে কর্তৃপক্ষ।
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আরতীর সন্ধান করতে শুরু করেন সোনু। শেষে তিনি স্ত্রীকে খুঁজে পান দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে। সোনু পুলিশের কাছে দাবি করেন, বিয়ের কয়েক দিন পর সম্পত্তি নিয়ে ঝগড়ার জেরে আরতী তাকে ছেড়ে চলে যান। বর্তমানে রাজস্থানের দৌসাতে তিনি রয়েছেন।
বিষয়টি জানার পর পুলিশ সেখানে গিয়ে আরতীকে জীবিত দেখতে পায়। অবশেষে তাকে আটক করে পুলিশ। আরতীর কাছ থেকে দুটি আধার কার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুটি কার্ডে আলাদা জন্ম তারিখ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সোমবার আরতীকে আদালতে পাঠানো হবে।