
২০২১-২২ মৌসুমে বিভিন্ন বয়স শ্রেণিতে ৯০০ এর বেশি বৈষম্যের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে হকি কানাডা। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক উস্কানি, অপমান ও ভয় দেখানো।
জাতীয় ক্রীড়া সংস্থাটির এ সংক্রান্ত প্রথম প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈষম্যের ঘটনায় ৫১২টি জরিমানা ও ৪১৫টি অভিযোগ তদন্ত করা হয়েছে।
ফেডারেশনে খারাপ চর্চাগুলো বন্ধে ২০২১ সালের আগস্টে রুলবুকে নতুন একটি অনুচ্ছেদ যুক্ত করেছে হকি কানাডা। গত মৌসুমে ফেডারেশনে নিবন্ধিত খেলোয়াড়ের সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ২০ হাজার। শুক্রবার প্রকাশিত ১৪ পাতার নথিতে ১১.৪ বিধি প্রয়োগের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে, যা জাতি পরিচয়, ভাষা, ধর্ম, সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন, লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে কাজ করবে।
খেলাধুলার এই ক্ষেত্রটিতে খারাপ বিষয়গুলো নিরসনে গত জুলাই মাসে প্রকাশিত কর্মপরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করল হকি কানাডা। সংস্থাটি বলেছে, শুক্রবার প্রকাশিত তথ্যে দুর্ব্যবহার, যৌন হয়রানির মতো ঘটনার প্রতিচ্ছবি নেই, এই মৌসুমের শুরুর দিকে যা ফেডারেল সরকারের অফিস অব দ্য কোর্ট ইন্টিগ্রিটি কমিশনার দেখবে।
নথিতে বলা হয়েছে, এটা রিপোর্টিংয়ের প্রথম বছর হওয়ায় উঠে আসা উপাত্তে হকিতে বৈষম্যের পুরোপুরি প্রতিফলিত হয়নি। তবে হকিতে অনাচারগুলো শনাক্তে হকি কানাডার চলমান প্রচেষ্টার জন্য প্রতিবেদনে উঠে আসা উপাত্তগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অন-আইস বৈষম্যের ঘটনায় কর্মকর্তারা গত বছর যে ৫১২টি শাস্তি দিয়েছেন তার৬১ শতাংশই সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন অথবা লিঙ্গ পরিচয় সংক্রান্ত। এছাড়া জাতি সংক্রান্ত বৈষ্যমের ঘটনা ১৮ শতাংশ এবং অক্ষমতা সংক্রান্ত ১১ শতাংশ। এসব ঘটনার ৫৫ শতাংশ ঘটেছে অনুর্ধ্ব ১৮ বছর বয়স শ্রেণিতে। প্রতিযোগিতা পর্যায়ে ঘটেছে ৭৬ শতাংশ ঘটনা। শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে যাদের বিরুদ্ধে তাদের ৯৬ শতাংশই খেলোয়াড়। এদের ৯৯ শতাংশ আবার পুরুষ।