
মাত্র পাঁচ হাজার টাকা বেতনে গৃহকর্মীর কাজ নেন চম্পা (ছদ্মনাম)। ঠিকঠাক চলছিল সবকিছু। কদিন যেতেই বাসায় পরপুরুষ নিয়ে আসেন গৃহকর্ত্রী। আর তাদের সঙ্গে শারীরিক মেলামেশায় বাধ্য করেন গৃহকর্মীকে। ধারণ করে রাখতেন ভিডিও। শুধু তাই নয়, চেতনানাশক ওষুধ খাইয়েও বাধ্য করতো এসব কাজে। নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে পালিয়ে আসেন ১৫ বছরের এ গৃহকর্মী। দ্বারস্থ হন পুলিশের।
ঘটনাটি নোয়াখালীর। গৃহকর্মীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগে অবশেষে দুই নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলার চাটখিল পৌর শহরের স্কাইভিউ চাইনিজ রেস্টুরেন্ট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের চিলাদী গ্রামের মোশারেফ হোসেনের মেয়ে ৩০ বছর বয়সী দিলরুবা আক্তার তুহিন ও সোনাইমুড়ী উপজেলার বাসিন্দা ২৪ বছরের বিবি কুলসুম।
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী জানান, দিলরুবার বাসায় পাঁচ হাজার টাকা বেতনে গৃহকর্মীর কাজ নেন তিনি। কিছুদিন পর বাসায় অপরিচিত লোক এনে তাকে যৌনকাজে বাধ্য করেন কুলসুম। প্রতিবাদ করলে শারীরিক নির্যাতনের পর বাসায় আটকে রাখতেন। বিষয়টি জানানোর পর তাকে ভাড়া বাসা সোনাইমুড়ীতে নিয়ে যান দিলরুবা। সেখানেও যৌনকাজে বাধ্য করা হয়। একই সঙ্গে ভিডিও ধারণ করে রাখেন। এছাড়া চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে
যৌনকাজে বাধ্য করেন গৃহকর্ত্রী। পরে বাধ্য হয়ে পালিয়ে আসেন। এ ঘটনায় নোয়াখালীর পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করা হয়।
সোনাইমুড়ী থানার এএসআই মো. ইউনুছ মিয়া বলেন, এ ঘটনায় মানবপাচার আইনে মামলা হয়েছে। মামলার পর অভিযুক্তদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ