
প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ে করেন পারভীন আক্তার ও ইমরান হোসেন। বিয়ের পরে ইমরান পারিবারিক চাপের কথা বলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন পারভীনের সঙ্গে। পরে শ্বশুরবাড়িতেও ঠাঁই হয়নি পারভীনের, তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনটাই ঘটেছে রাজবাড়ী সদর উপজেলার শাইলকাঠি গ্রামে।
জানা যায়, ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন পারভীন ও ইমরান। এরপর পারিবারিক চাপের কথা বলে গা ঢাকা দেন ইমরান। অন্যদিকে, পারভীনকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এ ঘটনার পরে এলাকায় একাধিকবার সালিস হলেও স্বামীর বাড়িতে পারভীনের কোনো জায়গা হয়নি। এ সময় পারভীন রাজবাড়ী আদালতে তিনটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত করে সমাজসেবা অধিদপ্তর। মামলায় শ্বশুর মজনু শেখ ও শাশুড়ি রুমা বেগমকে আসামি করা হলেও তদন্তে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। এখন বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন পারভীন।
পারভীন আক্তার বলেন, ‘গরিব হওয়ার কারণে শ্বশুর-শাশুড়ির দাবি করা যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় তারা ছেলেকে অন্যত্র সরিয়ে রেখেছেন। তার (ইমরান) সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেয় না। নায্য বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোনো কাজ না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আমার কি বিচার পাওয়ার অধিকার নেই?’
এ বিষয়ে মজনু শেখের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
রাজবাড়ী সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক রুবাইয়াত মো. ফেরদৌস বলেন, মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। উভয়পক্ষের সাক্ষ্য নিয়ে স্বামী অভিযুক্ত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।