0.3 C
Toronto
মঙ্গলবার, মার্চ ১৮, ২০২৫

অশ্লীল ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেল, তরুণীসহ গ্রেপ্তার ৩

অশ্লীল ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেল, তরুণীসহ গ্রেপ্তার ৩

গ্রেপ্তার মো সাকিব হোসেন ওরফে শুভ ২২ ও মো নাহিদ হোসেন ২০

অশ্লীল ছবি-ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেলের মাধ্যমে চাঁদাবাজির অভিযোগে এক তরুণীসহ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৮) সদস্যরা।

আজ শনিবার দুপুরে বরিশাল শহরের রূপাতলী সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট মো. শহিদুল ইসলাম।

- Advertisement -

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর পেনশনের টাকা তুলে ব্যাংকে রেখেছিলেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মাছপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম (৬৩)। বিষয়টি জানতে পেরে তার কাছ থেকে টাকা দাবি করেন উপজেলার বিপাশা এলাকার বাসিন্দা মো. সাকিব হোসেন ওরফে শুভ (২২), মো. নাহিদ হোসেন (২০) ও মিলা আক্তার (২৩)।

প্রত্যাশিত টাকা না পেয়ে তারা ক্ষিপ্ত হয় এবং রফিকুলের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। এরপর গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় মসজিদ থেকে বাড়িতে ফেরার পথে রফিকুলকে জিম্মি করা হয়। এ সময় অস্ত্র দেখিয়ে রফিকুলকে হত্যার ভয় দেখানো হয় এবং একটি বাগানে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সেখানে তারা রফিকুলের বিভিন্ন অশ্লীল ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে। এ ছাড়া ১০০ টাকার তিনটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সই নিয়ে ১০ অক্টোবরের মধ্যে দশ লাখ টাকা দিতে বলে। এ সময় টাকা না দিলে ইন্টারনেটে ছবি এবং ভিডিও ছড়িতে দেওয়ার ভয় দেখানো হয় রফিকুলকে।

এরপরও টাকা দিতে অস্বীকার করায় অভিযুক্তরা রফিকুলকে তার ছেলে মো. রাব্বিকে (২৫) হত্যার হুমকি দেয়। পরে ১০ অক্টোবর বাউফলের একটি ব্যাংকে বসে শুভকে পাঁচ লাখ ও নাহিদকে তিন লাখ টাকা দেন রফিকুল। এরপর তিনি ভয়ে পরিবারসহ পটুয়াখালী সদরে নিজের শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান নেন।

পরে ১৪ ডিসেম্বর র‌্যাবের পটুয়াখালী ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানিতে তিনি ওই তিনজনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেটি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে একপর্যায়ে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করে তদন্তকারীরা। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমে অভিযুক্ত মো. নাহিদ হোসেন ও মিলা আক্তারকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে গত শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে শুভকে আটক করে র‌্যাব-১০।

তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট মো. শহিদুল ইসলাম।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles