
১। ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনা যখন কাপটা নিয়ে চুমু দেয়, আকাশের দিকে মেলে ধরে সেই একই দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় ছিলাম আমরা কোটি কোটি মানুষ
২। টরন্টো থেকে আমার ছেলে মেয়ে খেলার আপডাউন দেখে খেলার চেয়ে মুলত আমাকে নিয়ে চিন্তা করছিল বেশী, বার বার খোঁজ নিচ্ছিল
৩। আমার শালিকার বাসায় স্পেশাল ফুড রান্না করে টেবিলে দেয়া হলো খেলা দেখার দর্শকদের জন্যে, বেচারী নিজেও আর্জেন্টিনার সমর্থক, ব্রাজিলের সমর্থক বাসার বাকী দুজন দর্শক আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা পর্যন্ত মিন মিন করে সমর্থন করছিলো! ওমা! যেই না ফ্রান্স দুই গোল শোধ করে দিল, তাদের সে কি চিৎকার! কেমন ছুপা ব্রাজিলরে ভাই!
৪। তারপর আবার দুই মা বেটা গাড়ী নিয়ে বের হয়ে পড়লো রাত ১ টায় জনগণের প্রতিক্রিয়া দেখার জন্যে
৫। টরন্টো থেকে কামরুল হাফিজ ভাই লিখলেন সেরা লাইন। আর্জেন্টিনা সবাইকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর সেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে প্রথম মোকাবিলাতেই সৌদি হারিয়ে দিয়েছে, অতএব মুলত কে চ্যাম্পিয়ন? লজিক একখান!
৬। আসল কথা হলো ঐ প্রথম খেলাটাই আমার দেখা হয় নি, আর ঐদিনই দুর্ঘটনাটা ঘটেছে, যে কারণে মাঝের দুটো খেলা রাত জেগে মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে কষ্ট হলেও মিস করি নি, যদি অঘটন ঘটে! ভ্যানগার্ড বলে কথা!
যা হোক, অভিনন্দন আর্জেন্টিনা! অভিনন্দন সবাইকে। আগামী বিশ্বকাপ টরন্টোতে! সবাইকে অগ্রিম নিমন্ত্রণ রইলো তবে ভুয়া ভিসা ব্যবসায়ীদের খপ্পর থেকে সাবধান।
স্কারবোরো, কানাডা