
কসাই বাবার সঙ্গে অন্টারিওর সল্ট মেরিতে বেড়ে ওঠা টনি ভারনেলি মাংস খেতে বরাবরই ভালোবাসেন। খুব বেশিদিন হয়নি; তিনি লক্ষ্য করেন যে, তিনি যে খামারের প্রাণিগুলোকে ভালোবাসেন মাংস আসছে সেখান থেকেই। ভার্নেলির বয়স যখন ১৮ বছর তখনই তিনি মাংস ছেড়ে নিরামিষে ঝুঁকে পড়েন।
পরবর্তীতে ৩০ বছরের বেশি সময় প্রাণি অধিকার নিয়ে কাজ করেছেন ভার্নেলি। এখন তিনি ভেগানরির কমিউনিকেশনের প্রধান। ভেগানরি হচ্ছে ৩১ দিনের প্রতিজ্ঞা, যেখানে পুরো জানুয়ারিজুড়ে নিরামিষ খাওয়ার চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয় অংশগ্রহণকারীদের। চ্যালেঞ্জটি লোকজনকে জীবনাচারে পরিবর্তন আনারও একটা সুযোগ করে দেয় বলে জানান ভার্নেলি।
নিরামিশভোজীরা কোনো ধরনের প্রাণিজ খাবার খান না। এর অর্থ হচ্ছে কোনো ধরনের মাংস, দুগ্ধজাত পণ্য ও ডিম খাওয়া বারণ। এমনকি কেউ কেউ চামড়া বা লোম থেকে বা প্রাণীদের ওপর পরীক্ষিত পরিধেয়ও এড়িয়ে চলেন।
ভেগানরি এখন বৈশি^ক আন্দোলন, যাতে সারাবিশে^র মানুষ অংশ নিয়ে থাকে। এতে অংশগ্রহণকারী শীর্ষ ২০টি দেশের মধ্যে রয়েছে কানাডা এবং তাদের স্থান তালিকায় ১৮তম। ২০১৮ সালে পরিচালিত স্ট্যাটিস্টার এক সমীক্ষায় দেখা যায়, দশমিক ৮৫ শতাংশ কানাডিয়ান নিরামিশভোজী। আর ২ দশমিক ৩ শতাংশ শাকাহারি।
ভেগানরিতে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে মূলত তিনটি বিষয় প্রণোদনা হিসেবে কাজ করে থাকে বলে জানান ভার্নেলি। এগুলো হলো প্রাণী সুরক্ষা, স্বাস্থ্য সুবিধা এবং পরিবেশগত উদ্বেগ।
এমনকি কানাডিয়ান কোম্পানিগুলোও এখন মাসব্যাপী এ চ্যালেঞ্জের স্বীকৃতি দিচ্ছে।