
দুই বছরের মহামারি শেষে ২০২২ সালে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভুত হয় মূল্যস্ফীতি। উচ্চ মূল্যস্ফীতির বছরটির দিকে ফিরে তাকিয়েছেন ।
গত ৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখতে পাচ্ছি আমরা। এটা শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের শেষ দিকে এবং ২০২২ সালজুড়েই তা বিদ্যমান ছিল। গত গ্রীষ্মে তা ৮ শতাংশের কাছাকাছি চলে যায়। এটার কারণ মূলত বাড়ি, গ্যাস ও মুদিপণ্যের উচ্চ মূল্য। এখন তা অর্থনীতির অন্যান্য খাতেও ছড়িয়ে পড়েছে।
পাইকারী বিক্রেতার দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, আমরা যেসব সামগ্রী আনি সেগুলোর দাম নিশ্চিতভাবেই বেড়েছে এবং এর মোকাবিলা আমাদের করতে হচ্ছে।
একজন ভোক্তা তার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে বলেন, অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় ২০২২ সালে মুদিপণ্যের তালিকা করতে আমাকে বেশি কষ্ট করতে হয়েছে। পণ্যের সঙ্গে মূল্য যাতে খাপ সেটাও আমাকে নিশ্চিত করতে হয়েছে। সেই সঙ্গে ক্যাশব্যাক অ্যাপের মতো অন্যান্য উপায় বেশি কাজে লাগাতে হয়েছে, যাতে কিছু অর্থ ফেরত আসে। কাজগুলো খুব নিষ্ঠার সঙ্গে করতে হচ্ছে আমাকে।
জনগণের আচরণে কী পরিবর্তন এসেছে? এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়, বছরের শুরুর দিকে আমরা খুব বেশি পরিবর্তন দেখতে পাইনি। মহামারি থেকে জনগণ দুটি গ্রুপে বেরিয়ে আসে। একটি গ্রুপে রয়েছে তারা, যারা সত্যিই খুব কষ্ট করেছেন। আরেকটি গ্রুপে আছেন তারা, যারা নগদ অর্থ নিয়ে বেরিয়ে এসেছেন। তবে মধ্য গ্রীষ্মের মাসগুলোর আগে তাতেও ব্যয়ের ওপর তেমন একটা প্রভাব দেখা যায়নি। বছরের শেষ দিকে ভোক্তা ব্যয়ে কিছুটা রাশ টানতে দেখেছি আমরা। এখন ভোক্তা ব্যয় খুবই কম দেখা যাচ্ছে। শুকনো পাস্তা দোকানের তাকগুলো থেকে দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে। কারণ, লোকজন গ্রোসারিতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছেন।
ভোক্তারা আগের চেয়ে বেশি কুপন ও ছাড়ের সুযোগ নিচ্ছেন কিনা? এই প্রশ্নের বলা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কুপনার অনুসরণ বেড়ে গেছে।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.