
কুইবেকে সোমবার নতুন করে ৭৫ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। গত শুক্র ও শনিবার আক্রান্ত হয়েছিলেন ২২৩ জন। প্রদেশটিতে বর্তমানে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৮১৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে শুক্রবার একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার থেকে হাসপাতালে ভর্তি কোভিড রোগীর সংখ্যা ৬৭ তে স্থিতিশীল রয়েছে। এই যখন অবস্থা তখন প্রদেশের বার, নৈশক্লাব, উৎসব ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোর জন্য প্রযোজ্য কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরও শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রিমিয়ার ফ্রাসোয়াঁ লেগু। সোমবার এক টুইটে তিনি বলেন, রোববার থেকে বার ও নৈশক্লাবগুলো আরও এক ঘণ্টা অর্থাৎ রাত ১টা পর্যন্ত অ্যালকোহল সরবরাহ করতে পারবে। তবে রাত ২টার মধ্যে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। খোলা জায়গার উৎসবে ৫ হাজারের পরিবর্তে ১৫ হাজার মানুষ জড়ো হতে পারবেন। তবে ইনডোরে জমায়েত হতে পারবেন সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ মানুষ। বর্তমানে ইনডোর অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫০০ মানুষের জমায়েত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এদিকে, কুইবেকের যেসব নাগরিক অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উভয় ডোজ ভ্যাকসিনই নিয়েছেন ভ্রমণের প্রয়োজনে চাইলে তাদেরকে এমআরএনএ ভ্যাকসিনের বাড়তি ডোজ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সরকার। কিছু দেশ সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের স্বীকৃতি না দেওয়ার কারণে এ প্রস্তাব দিচ্ছেন কুইবেকের জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। তবে এটা গ্রহীতাদের ওপর নির্ভর করছে বলে সোমবার জানিয়েছেন তারা।
স্বাস্থ্য বিভাগের একজন মুখপাত্র সোমবার বলেন, তৃতীয় ডোজ দুই ডোজের চেয়ে বাড়তি কোনো সুরক্ষা দেবে না। তবে দুই ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের পর তৃতীয় ডোজ হিসেবে এমআরএনএ ভ্যাকসিন নেওয়া কতটা নিরাপদ সেটি এখনও পরিস্কার নয়।
মুখপাত্র রবার্ট মারান্ডা বলেন, পৃথক দুটি ভ্যাকসিনের তিনটি ডোজের প্রভাব নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মূল্যায়ন হয়নি। ভ্রমণের উদ্দেশে কেউ এটা নিতে চাইলে ভ্রমণের চেয়ে সম্ভাব্য ঝুঁকির মাত্রা বেশি কিনা সে ব্যাপারে তাদেরকে সঠিকভাবে অবহিত করতে হবে। ঝুঁকি ও লাভের বিষয়টি বিচার করার দায়িত্ব তাদের একান্তই নিজের।