9.5 C
Toronto
রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

শ্রীলংকার সাবেক দুই প্রেসিডেন্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা

শ্রীলংকার সাবেক দুই প্রেসিডেন্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা - the Bengali Times
শ্রীলংকায় গৃহযুদ্ধের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশটির জ্যেষ্ঠ চার নেতার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কানাডা

শ্রীলংকায় গৃহযুদ্ধের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশটির জ্যেষ্ঠ চার নেতার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কানাডা। তাদের মধ্যে সাবেক দুই প্রেসিডেন্টও রয়েছেন।
এই খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেছে অটোয়াতে শ্রীলংকার হাই কমিশন। কানাডিয়ান প্রেসকে তারা বলেছে, কানাডার সরকার তাদের উদ্বেগের বিষয়টি সরাসরি জানাতে পারতো।
অবরোধের আওতায় পড়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাক্ষে, যিনি গত জুলাইয়ে পদত্যাগ করেন। আরেকজন হলেন তার বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপাক্ষে, যিনি প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী উভয় দায়িত্বই পালন করেছেন।

জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বিক্ষোভের মুখে গত গ্রীষ্মে সাময়িকভাবে দেশ থেকে পালিয়ে যান গোতাবায়া। আর মাহিন্দা রাজাপাক্ষে গত বসন্তে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন। শ্রীলংকার সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলি জনগণ ২৬ বছর গৃহযুদ্ধের পর টামিল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পরাজিত করার জন্য এই দুই ভাংয়ের প্রশংসা করে থাকে। কিন্তু তারা বর্তমানে কানাডার সঙ্গে সব ধরনের আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ।
নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা বাকি দুজন হলেন সাবেক জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা সুনীল রতœনায়েকে, তামিলদের হত্যার কারণে একটি আদালত ২০০০ সালে তার মৃত্যুদ- ঘেঅষণা করে। আরেকজন হলেন নেভি কমান্ডার চন্দনা প্রসাদ হেতিয়ারচাচি, যার বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ রয়েছে। স্পেশাল ইকোনমিক মেজারস অ্যাক্টের আওতায় এই চার ব্যক্তির জন্যই কানাডায় প্রবেশ নিষিদ্ধ।

- Advertisement -

কানাডার এই ঘোষণা দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কিছু গণমাধ্যমের দৃৃষ্টি আকৃষ্ট করেছে। রতœনায়েকে ও হেতিয়ারচাচির বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। তবে পাশ্চাত্য কোনো দেশে সরকারপ্রধানের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ঘোষণা বর্তমান সময়ে বেশ বিরল।

কানাডায় শ্রীলংকার ডেপুটি হাইকমিশনার আনজুল ঝান বলেন, তার সরকার শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং অটোয়া সরাসরি তাদের উদ্বেগ জানাতে পারতো।
বর্তমান প্রেসিডেন্ রানিল বিক্রমাসিংহে গত জুলাইয়ে দায়িত্ব নেন এবং জাতিগত ইস্যুতে সব তামিল এমপির সঙ্গে স্বাভাবিক আলোচনা শুরু করেছেন। হাইকমিশনের তথ্যমতে, কানাডায় বসবাসকারী ৩ লাখ মানুষ শ্রীলংকার তামিল। সুতরাং, আমরা মনে করি, শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কানাডাও একটি ভূমিকা রয়েছে এবং সব ইস্যু আলোচনা হওয়া উচিত দ্বিপক্ষীয়ভাবে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles