
এয়ারট্যাপ বলছে, তার ব্যাগটি টরন্টো পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের টার্মাকের কাছে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পড়ে আছে। ছুটির সময় সানউইং এয়ারলাইনে ভ্রমণকারী অন্টারিওর নারী জ্যানেট গ্রিভস এমনটাই বলছিলেন। তিনি বলেন, সানউইং নিয়ে যে দুঃস্বপ্ন আমি তার অংশ। টরন্টো পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে আমি ভোর সাড়ে তিনটার দিকে পে্যঁছায় এবং চেক-ইন লাইন ততক্ষণে দরজা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
এই দম্পতির প্রকৃত ফ্লাইট ছিল সাড়ে ৬টায়। কিন্তু বিলম্ব হতে হতে তাদের ফ্লাইট ছাড়ে শেষ পর্যন্ত প্রায় ১০টায়। গ্রিভস বলেন, উড়োজাহাজ যখন উড্ডয়ন করছিল তখনই আমি আমার ব্যাগটি টারমাকে দেখতে পাই। আমার কাছে যে ব্যাগ নেই তা আমি জানতাম। কিন্তু উড়োজাহাজের সিংহভাগ যাত্রীই তাাদের ব্যাগ পাইনি।
গ্রিভস বলেন, কিউবার ভারাদোরয় অবতরণের পর সানউইংয়ের কাছ থেকে নোটিফিকেশন পান, যাতে বলা হয় তার ব্যাগ আদৌ কিউবায় আনা হয়নি। টরন্টোতে ফেরার পর সেটি পাবেন তিনি। কোনো ধরনের বাড়তি কাপড় চোপড় ছাড়াই ভ্রমণে যেতে হয় তাদের এবং সাধ্যের মধ্যে পাওয়া যায় এমন কিছু স্থানীয় বাজার থেকে কিনতে হয়। তার ব্যাগের মধ্যে রাখা এয়ারট্যাগ বলছে, তাদের ব্যাগ এখনো এয়ার কানাডার হ্যাঙ্গারের কাছে পিয়ারসনের টারমাকে রয়েছে। ২ জানুয়ারি ফেরার পর এয়ারলাইনের কর্মীরা তাকে জানান, নির্ধারিত গুদামে তার ব্যাগটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
গ্রিভস বলছিলেন, এটা এখানে নেই। ওটা টারমাকে এয়ার কানাডার হ্যাঙ্গারের ঠিক পেছনে। এয়ারট্যাগই বলে দিচ্ছে ব্যাগটি কোথায় আছে। তারপর তাকে বলায় যে স্থানের কথা তিনি বলছেন সেটি সুরক্ষিত অঞ্চল, যার অর্থ হলো এই সময়ে সেটি সংগ্রহ করা যাবে না এবং ব্যাগটি সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত হলে আসতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার ব্যাগটি টারমাক থেকে সরানো হয়নি।
সানউইংয়ের নীতি অনুযায়ী, যেদিন ব্যাগটি যাত্রীকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল সেদিন থেকে পরবর্তী ২১ দিন ব্যাগের অবস্থান চিহ্নিত করতে না পারলে সেটি হারিয়ে গেছে বলে ধরে নেওয়া হয়ে থাকে। সুতরাং রিইম্বারসমেন্টের জন্য আবেদন করার আগে সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে গ্রিভসকে। আবেদন যদি গৃহীত হয়ও তারপরও সানউইংয়ের নীতি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২ হাজার কানাডিয়ান ডলার পর্যন্ত পাবেন তিনি।
গ্রিভস বলছিলেন, আমি বিরক্ত এবং বুঝতে পারছি না আর কি করতে হবে। আমি কোনো দাবিও করতে চাই না। আমি শুধু আমার ব্যাগ ফেরত চাই।