
ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর শিক্ষার্থী হাসানি ও’গিলভির ঘাড় এক পুলিশ কর্মকর্তা হাঁটু দিয়ে এমনভাবে চেপে ধরেন যে, নড়ার উপায় ছিল না। ওই শিক্ষার্থীর পরিচয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এটা চলতেই থাকে এবং শেষ পর্যন্ত প্রমাণ হয় যে ওই শিক্ষার্থী পুলিশের কাক্সিক্ষত ব্যক্তি নন। ও’গিলভি এখন এ ঘটনায় টরন্টো পুলিশের বিরুদ্ধে ১৬ লঅখ ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা করছেন।
২৭ বছর বয়সী ও’গিলভি বলেন, ২০২১ সালের ১২ আগস্ট একটি ক্রুজারকে পিছু নিতে দেখিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাউনটাউন ক্যাম্পাসের বাস ধরার আগে নর্থ ইয়র্ক প্লাজায় নেমে যান তিনি।
পুলিশ একে ভুল হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, পুলিশ যে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণকে খুঁজছিল ও’গিলভি তিনি নন। কিন্তু ও’গিলভি দাবি করেন, তিনি তার নাম ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে বলেছিলেন। তারপরও কথা কাটাকাটি চলতে থাকে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আরেক পুলিশ কর্মকর্তাকে দেখা যায়। এরপর আরও একজন আসেন। ও’গিলভিকে ধরে পুলিশ কর্মকর্তা হাঁটু দিয়ে বারবার আঘাত করতে থাকেন এবং পা তার ঘাড়ে তুলে দেওয়া হয়। মাটিতে ফেলে তাকে পিছমোড়া করে ধরা হয়।
ও’গিলভি এখন টরন্টো পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করছেন এবং এতে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। প্রতিটি চার্টার লঙ্ঘনের জন্য ক্ষতিপূরণ চাওয়া হচ্ছে ৫০ হাজার ডলার করে। এছাড়া ফ্যামিলি ল অ্যাক্ট অনুযায়ী ও’গিলভির মাও আড়াই লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ চাইছেন।
ও’গিলভির আইনজীবীর তথ্য অনুযায়ী, পুরো ঘটনাটি পুলিশ কর্মকর্তার বডি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ভিডিও ফুটেজ তিনি দেখেছেনও। তবে টরন্টো পুলিশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়নি। এ কারণে টরন্টো পুলিশের মুখপাত্র এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি এ মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।