তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক ভিসা ও স্টার্টআপ ভিসায় ইতালিতে আসতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য ডিক্রি জারি করেছে ইতালি সরকার। চলতি বছর এই সংখ্যা সাত হাজার বাড়িয়ে ৮২ হাজার ৭০৫টি করা হয়েছে।
‘দেক্রেতো ফ্লুসি’ নামে পরিচিত এই বিজ্ঞপ্তিতে রোম কর্তৃপক্ষ এ বছরের জন্য সিজনাল বা মৌসুমি ভিসা এবং স্পনসর ভিসায় আসতে ইচ্ছুকদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের মোট সংখ্যা সাত হাজার বাড়িয়ে ৮২ হাজার ৭০৫’এ উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দেশটির সরকারের মতে, এই পদক্ষেপটি ওয়ার্ক পারমিট কোটা বাড়িয়ে সারা দেশে শ্রমিক ঘাটতি মোকাবেলা করতে সহায়তা করবে। ওয়ার্ক পারমিট নির্দিষ্ট সেক্টরগুলোতে আবেদনকারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে ওয়ার্ক পারমিটের এই কোটা সুবিধা হাই স্কিল্ড বা দক্ষ বিদেশিদের জন্য প্রযোজ্য নয়।
যা আছে ডিক্রিতে
ইতালির শ্রম ও সামাজিক পরিকল্পনা বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত এই ডিক্রি অনুযায়ী, এই বছরের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের অধীনে ৪৪ হাজার কোটা মৌসুমি বা সিজনাল কাজের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। এই খাতে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়ে কৃষিখাতে।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালে ৩৮ হাজার ৭০৫টি কোটা নন-সিজনাল বা স্পন্সর ভিসার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। স্পনসর ভিসা পর্যটন, টেলিযোগাযোগ এবং নির্মাণ খাতে আবেদন করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য সংরক্ষিত। নন-সিজনাল ভিসার মধ্যে সাত হাজার কোটা ইতালি বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে অবস্থানরতদের অভিবাসীদের জন্য রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইতালিতে অবস্থানরত যারা তাদের রেসিডেন্স পারমিট নবায়ন করতে চান তারা এবং ইইউর কোনো দেশে থেকে যারা আবেদন করতে চান তারা আবেদনের সুযোগ পাবেন।
আবেদনে নতুন সংযোজন
২০২২ সালের তুলনায় চলতি বছরের ‘দেক্রেতো ফ্লুসিতে’ একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ও নিয়ম যুক্ত করা হয়েছে। নতুন নিয়মে ২০২৩ সাল থেকে যেসব ব্যবসায়ীরা বিদেশ থেকে নন-সিজনাল ভিসায় শ্রমিক আবেদন করবেন তাদেরকে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের কর্মসংস্থান কেন্দ্রের অনুমোদন লাগবে। তবে সিজনাল বা মৌসুমি ভিসায় আসতে ইচ্ছুকদের জন্য এই নিয়মটি প্রযোজ্য নয়।
দেশটির শ্রম নীতির জন্য নির্ধারিত ইতালির জাতীয় সংস্থা (আনপাল) তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, একজন ব্যবসায়ী যদি তার ব্যবসার জন্য নন-সিজনাল খাতে বা স্পন্সর ভিসায় শ্রমিক আনতে চান, সে ক্ষেত্রে উক্ত পদের জন্য সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে শ্রমিক ঘাটতি আছে বা যোগ্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না এটি প্রমাণ করতে হবে। এই প্রক্রিয়ার জন্য একজন ব্যবসায়ীকে স্থানীয় কর্মসংস্থান কেন্দ্রে ‘স্টাফ রিকুয়েস্ট’ নামে একটি আবেদন করতে হবে।
পরে উক্ত কেন্দ্র থেকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দিলে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে পারবেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অমান্য করার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে কর্মসংস্থান কেন্দ্র যদি আবেদনের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে উত্তর না দেয় এবং কোনো পদের জন্য তাদের পাঠানো কর্মচারী যদি অযোগ্য হয় সে ক্ষেত্রে এই কেন্দ্রের সত্যায়ন প্রযোজ্য হবে না।
সূত্র : আমাদের সময়