
উচ্চ সুদের হারের কারণে ভোক্তাদের ব্যয় চলতি বছরও কম হবে। এর ফলে আরও শ্লথ হবে কানাডার অর্থনীতি।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার ডিসেম্বরের প্রকৃত জিডিপির প্রাথমিক যে হিসাব তা এই ইঙ্গিতই দিচ্ছে যে, অর্থনীতি বাড়বেও না আবার সংকুচিতও হবে না। গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে কানাডার অর্থনীতিতে বার্ষিক ১ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যদিও ২০২২ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে কানাডায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
জিডিপি সংক্রান্ত জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রতিবেদনে এটাই প্রমাণিত হচ্ছে যে, কানাডার অর্থনীতি সত্যিই গতি হারাচ্ছে। এই প্রবণতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সুদের হার বৃদ্ধির পূর্ণাঙ্গ কার্যকারিতা সাধারণত ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে দেখা যায়।
গত বছরের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ব্যাংক অব কানাডা মোট আট দফা সুদের হার বাড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, সুদের হার বৃদ্ধির ব্যাপারে তারা শর্তসাপেক্ষে বিরতি নিচ্ছে। এর ফলে বর্তমানে নীতিনির্ধারণী সুদের হার দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে মূল্যস্ফীতি বাড়লে সুদের হার বৃদ্ধির দরজাও খোলা রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দেওয়া বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর ২০২২ সালের প্রথমার্ধে কানাডার অর্থনীতিতে জোয়ার দেখা গিয়েছিল। গত নভেম্বরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল দশমিক ১ শতাংশ। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার হিসাবে, গত বছর কানাডার জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে প্রবৃদ্ধির এই ধারা ঝিমিয়ে পড়ে। ব্যাংখ অব কানাডার আগ্রাসী সুদের হার বৃদ্ধির সঙ্গে এর একটা যোগসূত্র রয়েছে।
নভেম্বরে প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে সরকারি খাত, পরিবহন, ওয়্যারহাইজং, আর্থিক ও বিমিা খাত।
কানাডার মূল্যস্ফীতির হার গত গ্রীষ্ম থেকে কমে আসছে এবং গত ডিসেম্বরে তা ৬ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০২৪ সালের মধ্যে এ হার ২ শতাংশের লক্ষ্যের মধ্যে দেখতে চায় ব্যাংক অব কানাডা।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.