
গত এপ্রিল থেকেই বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার ব্যাংক অব কানাডার প্রত্যাশার চেয়ে উপরে আছে এবং আগস্টে তা ৪ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছেছে। বছরের বাকি সময়ও মূল্যস্ফীতির হার তাদের প্রত্যাশিত ২ শতাংশের উপরেই থাকবে বলে মনে করছে কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দ্রত গতিতে মূল্যবৃদ্ধি প্রাথমিক ধারণার চেয়ে দীর্ঘ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর টিফ ম্যাকক্লেম। তার মতে, বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা যেভাবে স্থানীয় অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলছে তাতে করে কানাডার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি শ্লথ হয়ে আসতে পারে।
গভর্নর টিফ ম্যাকক্লেম বলেন, তিনি ও বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নররা যেমনটা ভেবেছিলেন, বৈশ্বিক পণ্য ও জ্বালানির স্থানান্তর সেভাবে হচ্ছে না। এখনও তার বিশ্বাস, সাময়িক এ সমস্যা একবারের জন্যই মূল্যবৃদ্ধি ঘটাবে।
বৈশ্বিক ভোক্তা ব্যয় বিশেষ করে পণ্য ক্রয় ব্যাপকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সরবরাহ শৃঙ্খলের মধ্য দিয়েই যার জোগান দিতে হবে। কিন্তু গত বছর চাহিদার ব্যাপক পতন এবং কোভিড-১৯ মহামারি ও জনস্বাস্থ্য বিধিবিধানের কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে চাহিদাসম্পন্ন ভোক্তা পণ্যেন মজুদে ঘাটতি তৈরি হওয়ার পাশাপাশি গাড়ির যন্ত্রাংশের মতো পণ্যের সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে এবং পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যা ভোক্তাদের ওপর গিয়ে পড়ছে। একই সঙ্গে সরবরাহ বিলম্বের অর্থ হলো ভোক্তা তার চাহিদামতো সময়ে পণ্যের সরবরাহ পাচ্ছেন না। এতে করে ভোক্তা ব্যয় বিলম্বিত হচ্ছে, যা প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
বৃহস্পতিবার ভিডিওকনফারেন্সের মাধ্যমে ম্যাকক্লেম সাংবাদিকদের বলেন, তারপরও আমরা ভালো পুনরুদ্ধার আশা করছি। যদিও জুলাইয়ে আমাদের যে পূর্বাভাস ছিল সে গতিতে হয়তো হবে না। এরপর থেকে আমরা যেটা দেখছি তা হলো সরবরাহ ব্যবস্থায় সংকট। তখনও এটা একটা দুশ্চিন্তার বিষয় ছিল। তবে এখন তা আরও জটিল আকার ধারণ করছে।
কানাডিয়ান অর্থনীতিতে সরবরাহ শৃঙ্খল ইস্যুটি সরকারের মনোযোগে আছে বলে জানিয়েছেন অর্থমমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড।