
প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অসংখ্যবার করেছেন শারীরিক সম্পর্ক। অবশেষে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালেন সেই প্রেমিক। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে নিজের ক্ষোভ ঝারলেন প্রেমিকা। কেটে দিলেন দীর্ঘদিনের ভালোবাসার প্রেমিকের জিহ্বা। ঢাকার ধামরাই উপজেলায় ফড়িঙ্গা গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে প্রেমিকের কেটে রাখা জিহ্বা উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় ধামরাইয়ের ফড়িঙ্গা গ্রামের শফিকুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শারমিন আক্তার একই এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে। তার ধামরাইয়ের সাইফুল ইসলামের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনার পর থেকে প্রেমিক সাইফুল ইসলাম স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সাইফুল ইসলামের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায়, সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাইফুল ইসলাম ফড়িঙ্গা গ্রামের শফিকুল ইসলামের বাড়িতে প্রেমিকা শারমিনের সাথে দেখা করতে যান। এ সময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী প্রেমিকা শারমিন কৌশলে ব্লেড দিয়ে প্রেমিকের জিহ্বা দ্বিখণ্ডিত করে ফেলেন। এরপর শারমিনের বাবা শফিকুল, মা পানকা বেগম, ভাই ফারুক হোসেন ও নানা সোরহাব হোসেন মিলে সাইফুলকে বেধড়ক মারধর করলে সাইফুল নিস্তেজ হয়ে যায়।
পরে মৃত ভেবে তারা তাকে ঘরের মেঝেতে ফেলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জানা যায়, সাইফুল ইসলাম শারমিন আক্তারের সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কিন্তু বিয়ে না করে দিনের পর দিন সময়ক্ষেপণ করতে থাকলে প্রেমিকা শারমিন ক্ষিপ্ত হয়ে পরিবারের সহযোগিতায় সাইফুলের জিহ্বা কেটে নেন।
ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।