
মিউসিপাল রাজনীতিতে গত সপ্তাহটি ছিল একেবারেই চুপচাপ। এর ফলে অনেকের কাছেই টরন্টোকে মনে হতে পারে উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে একঘেয়েমি শহর হিসেবে।
রেস্তোরাঁর টেবিলগুলো পরিপূর্ণ এবং সবাই একই আলোচনা করছে। মেয়র জন টরির আকস্মিক পদত্যাগের পারিপাশির্^কতা খুঁজে দেখার চেষ্টা করছে। আলোচনার খোরাকই বটে।
কিন্তু এই কেলেংকারির মৃত্যু ঘটায় এবং ডেপুটি মেয়র দায়িত্ব তুলে নেওয়ায় শিগগিরই নির্বাচনী প্রচারণা দেখা যাবে। যারা আবাসনে আগ্রহী তারা ক্রয়ক্ষমতার সংকট নিয়ে নানা কথা শুনবেন।
নির্বাচনের ফলাফল কী হবে? তার আশা, যেই আসুক তিনি যেনো বাস্তবিক সমাধান নিয়ে কাজ করার জন্য তৈরি হয়ে আসেন। আমাদের এমন কাউকে প্রয়োজন যিনি রাস্তা পরিস্কার করবেন এবং পরিবকল্পনাও করবেন।
এটা অস্বীকারের উপায় নেই। নগরীর পরিকল্পনা বিভাগের আমলাতান্ত্রিক দুঃস্বপ্ন নির্বাচনী ইস্যুর সবচেয়ে উপরের দিকে রয়েছে। পরিকল্পনা বিভাগের চেষ্টা ছাড়াই আবাসন পরিকল্পনা হয়েছে। এটা তাদের কারণে হয়নি।
আমার কাছে অবাক লাগে এই ভেবে যে, এই কাউন্সিলররা কি সত্যিই বিশ্বাস করেন যে, সমাধানটা এতো সহজ? নগরীর আকাশচুম্বি বাড়ি ভাড়ায় রাশ টানতে প্রয়োজন ভাড়ার লাগাম টেনে ধরা। ডেভেলপারদের তাদের প্রস্তাবের মধ্যে অধিক সংখ্যায় সাশ্রয়ী বাড়ির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা। তারা কী জানেন যে, লাভজনক না হলে ডেভেলপাররা কাজ বন্ধ করে দেয়। তখন সাশ্রয়ী বাড়ি নির্মাণ ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে।
তারা অবশ্যই জানে। তারা চায় কেবল ভোটাররা যেনো না জানুক। দেখা যাক, ভোটাররা কোনো পার্থক্য গড়ে দিতে পারে কিনা।