
শন হোয়াইট ২০২০ সালের গোড়ার দিকে যখন একটি ফ্যাশন স্টোর খোলেন তখন বৈশি^ক মহামারি যে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা যে পাল্টে দিতে পারে সে সম্পর্কে তার কোনো ধারণাই ছিল না।
হোইটের গ্রে হার্টস ডেনিম ফ্যাশন পোশাক বিক্রি থেকে শুরু করে ডেনিম ফেস মাস্ক তৈরি করেছে। বৈশ্বিক মহামারি যখন তাকে উৎপাদনের একটি সুযোগ করে দিয়েছিল, হোয়াইট এটা জেনে গিয়েছিলেন যে, তার ব্যবসার জন্য সাহায্যের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, যখন তিনি জানলেন যে, ফেডারেল সরকার ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ব্ল্যাক এন্টারপ্রিনিউরশিপ কর্মসূচি চালু করছে, তিনি আবারও উজ্জীবিত হলেন। আমাদের মতো অনেকের জন্যই এটা আশার আলো।
ফেডারেল সরকার বলছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে কৃষ্ণাঙ্গ উদ্যোক্তাদের সহায়তার লক্ষ্যেই এই কর্মসূচি।
বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব কানাডা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ৩০ কোটি ঋণ বিতরণ করা হয়। কৃষ্ণাঙ্গ নেতৃত্বাধীন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের ইকোসিস্টেম তৈরিতেও ফেডারেল সরকার ৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার ব্যয় করে।
কৃষ্ণাঙ্গ নেতৃত্বাধীন ব্যবসায়িক সংগঠন এবং নির্বাচিত কর্মকর্তাদের এক গোলটেবিল বৈঠকে লিবারেল এমপি গ্রেগ ফারগাস বলেন, মহামারির সময় কৃষ্ণাঙ্গ উদ্যোক্তারা যে চ্যালেঞ্জের শিকার হয়েছেন সে কারণেই এই কর্মসূচি। অন্যান্য কানাডিয়ানের মতো কৃষ্ণাঙ্গ কানাডিয়ানরাও যাতে একই ধরনের ভিত্তি পায় সেজন্য তাদেরকে সহায়তা করাই এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য। আপনি ভুল করতে পারেন।নএতে দোষের কিছু নেই। কারণ, প্রত্যেকেই ভুল করে। আমি বলতে চাইছি, আমাকেও অন্যদের মতো একই পর্যায়ের ভুল করার সুযোগ দিন।
কয়েক বছর ধরে কৃষ্ণাঙ্গরা আর্থিক প্রতিষ্ঠান চালিয়ে নিতে যেসব প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছেন সেগুলো চিহ্নিত করেছেন অ্যাকাডেমিক এবং এ নিয়ে কাজ করা ব্যক্তি ও সংগঠনগুলো। কানাডিয়ান ব্ল্যাক চেম্বার অব কমার্স বিডিসির সহযোগিতায় ২০২১ সালে চালানো এক গবেষণায় কৃষ্ণাঙ্গ ব্যবসায়ীদের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হিসেবে পুঁজি প্রাপ্তি, বিজ্ঞাপনের দক্ষতা এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন ও পরামর্শকে চিহ্নিত করা হয়।
যদিও ব্ল্যাক এন্টারপ্রিনিউরশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ঋণ পাওয়ার প্রক্রিয়াটি চ্যালেঞ্জিং বলে জানিয়েছেন হোয়াইট। তিনি বলেন, তহবিলটি চালু করার পর দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো তাকে ঋণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হচ্ছে।