
যে কোনো সম্পর্কই গড়ে ওঠে গভীর বিশ্বাস, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায়। তবে মানুষ মাত্রই মত এবং মন পরিবর্তিত হয়। আর তার প্রভাব পড়ে সম্পর্কে। তাই হয়তো আপনি যাকে নিয়ে সারাজীবন সুখে শান্তিতে কাটিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, তার সঙ্গে সম্পর্কে শুরু হতে পারে টানাপোড়ন। কিন্তু সম্পর্ক বিচ্ছেদের দিকে এগোচ্ছে তা কোন লক্ষণগুলো দেখে বুঝবেন?
সঙ্গীর সঙ্গে মানসিক দূরত্ব
মনের মিল স্বাস্থ্যকর সম্পর্কের অন্যতম ভিত্তি। সম্পর্ক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে একে অপরের মনের সঙ্গে সংযোগ থাকা জরুরি। কিন্তু সঙ্গীর সঙ্গে কি আপনার মনের দূরত্ব তৈরি হয়েছে? মানসিক ভাবে তার কাছে পৌঁছতে পারছে না? তা হলে কিন্তু সম্পর্ক নিয়ে ভাবনার সময় এসেছে। সম্পর্কের অবনতি নিয়ে ওয়াকিবহাল হোন।
শারীরিক সম্পর্কে অনীহা
দৃঢ় সম্পর্কের আরও একটি ধাপ হল শারীরিক ঘনিষ্ঠতা। সঙ্গীর সঙ্গে একাত্ম হওয়ার অন্যতম মাধ্যম হল এটি। একে অপরের প্রতি ভালবাসা আর গভীর অনুভূতি থাকলে শরীরের উদযাপন যেন আর ভাল করে হয়। কিন্তু সেই উদযাপন কি একঘেয়ে লাগছে? তা হলে সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন। সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসাই একমাত্র সমাধান হতে পারে না।
বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা
একটা সম্পর্ক জন্ম নেয় তখনই, যখন পরস্পরের প্রতি একটা প্রগাঢ় বিশ্বাস গড়ে ওঠে। বিশ্বাস ছাড়া কোনও সম্পর্ক এগোতেই পারে না। আর যদি সেই বিশ্বাসটাই হারিয়ে যায়, তা হলে সম্পর্কে ঘুণ ধরেছে কি না, তা যাচাই করে দেখুন। তেমন হলে বেরিয়ে আসুন সম্পর্ক থেকে।
সম্পর্ক নিয়ে অবসাদ
প্রেম মনের যত্ন নয়। ভালবাসা হলে মন আনন্দে ভরে থাকে সর্বক্ষণ। সম্পর্ক নিয়ে কেউ সত্যি খুশি হলে তার আভাস পাওয়া যায় বাইরে থেকেই। কিন্তু যে সম্পর্ক মানসিক যন্ত্রণা দেয়, অবসাদ ডেকে আনে, সেই সম্পর্কে ইতি টানাই শ্রেয়। সম্পর্ক থেকে যদি শুধুই মনকষ্ট প্রাপ্তি হয়, তাহলে বিচ্ছেদ সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে।
সম্মান ক্ষুন্ন হলে
প্রেমে সম্মান থাকা জরুরি। সঙ্গীর প্রতি ভালবাসা, আবেগ, অনুভূতি তো থাকবেই। কিন্তু সেই সঙ্গে প্রাপ্য সম্মানটুকুও দিতে হবে। যদি দেখেন সম্পর্কে আপনার কোনও সম্মান নেই, তা হলে বোধ হয় বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি না করাই ভাল।