
কুইবেক-টরন্টো করিডোরে হাইস্পিড ট্রেন পরিচালনার পক্ষে সিটি কাউন্সিল শিগগিরই তাদের সমর্থন দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। সিটি কাউন্সিলর পল এইনস্লি একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। সেখানে এই সুপারিশ করা হয়েছে যে, টরন্টো ও কুইবেক সিটির মধ্যে মন্ট্রিয়ল প্রস্তাবিত হাই-ফ্রিকোয়েন্সির বদলে হাই-স্পিড ট্রেনের ব্যাপারে টরন্টোর সমর্থন করা উচিত। ডেপুটি মেয়র জেনিফার ম্যাককেলভি প্রস্তাবের প্রতি সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।
হাই-ফ্রিকোয়েন্সি ও হাই-স্পিড ট্রেনের মধ্যে মূল পার্থক্য এর গতি। হাই-স্পিড ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে। এর ফলে টরন্টো ও মন্ট্রিয়লের মধ্যে যাতায়াতের সময় মাত্র দুই ঘণ্টায় নেমে আসবে। হাই-ফ্রিকোয়েন্সি ট্রেনের ক্ষেত্রে বড় শহরগুলোর মধ্যে গতি কিছুটা কম হবে। এর গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার। প্রকল্পটির জনগণের কাছে তুলনামূলক কম আকর্ষণীয় হবে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কানাডা যদি গ্রিন হাউস গ্যাস কিছুটা কমাতে চায় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দেওয়া প্রতিশ্রুত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে চায় তাহলে গণপরিবহনে কিছু বিনিয়োগ করতে হবে। বিশেষ করে ট্রেন যোগাযোগে। কুইবেক ও অন্টারিও সড়ক যোগাযোগে আগামী দশ বছরে ৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। পরিমাণটা কুইবেক ও টরন্টোর মধ্যে হাই-স্পিড ট্রেন চালু করতে যে খরচ তার প্রায় দ্বিগুন।
বড় শহরগুলোর হাই-স্পিড টেন পরিচালনার ব্যাপারে মন্ট্রিয়ল সিটি কাউন্সিলের প্রস্তাবের প্রতি ফেব্রুয়ারিতেই সমর্থন জানিয়েছে সিটি অব ওশাওয়া। যদিও ফেডারেল পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ফেব্রুয়ারিতে সিটিভি নিউজ টরন্টোকে বলেন, এর পরিবর্তে হাই-ফ্রিকোয়েন্সি ট্রেন চালু করতে চাইছে। এজন তারা বেসরকারি অংশীজন খুঁজছে।