
সিটির সেবা ও মেরামত কার্যক্রম আগামী বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমাতে হতে পারে বলে সতর্ক কনে দিয়েছেন টরন্টোর ডেপুটি মেয়র জেনিফার ম্যাককেলভি। কোভিড-১৯ এর প্রভাবে সৃষ্ট ঘাটতি মোকাবিলায় বাজেটে কোনো অর্থ বরাদ্দ রাখার ব্যাপারে ফেডারেল সরকারের অস্বীকৃতির পর এই মন্তব্য করলেন তিনি।
২০২২ সালে কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট ঘাটতি পুষিয়ে নিতে লিবারেল সরকারের প্রতি ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার বরাদ্দের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। লিবারেল সরকার তাতে ব্যর্থ হওয়ার পরদিন মঙ্গলবার সিটি হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন ম্যাককেলভি। চলমান কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ব্যয়ের কারণে ২০২৩ সালে ৯৩ কোটি ৩০ লাখ ডলারের ঘাটতি মোকাবিলার জন্যও ফেডারেল সরকারের কাছে আরও সহায়তার প্রতিশ্রুতি চাওয়া হয়েছিল।
বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাজেট খুব বেশি প্রবৃদ্ধিমুখী। আমাদের দেশের প্রবৃদ্ধি যে দরকার সেটা আমিও বুঝি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে টরন্টো এখনো অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার পর্যায়ে রয়েছে এবং সেজন্য আমাদের সহায়তা প্রয়োজন।
বুধবার বিকালেই সাবেক মেয়র জন টরির অফিস শূন্য ঘোষণা করা হয়। ম্যাককেলভি বলেন, গৃহহীনতা সমস্যা এবং টিটিসিতে যাত্রী কমে যাওয়ার মাশুল আমাদের এখনো গুনতে হচ্ছে। সুতরাং, ফেডারেল সরকারের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে জোর দিতে গিয়ে মিউনিসিপালিটিগুলোকে বাদ দিয়ে দেওয়া উচত নয়। কারণ, এগুলো এখনো পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।
ফেডারেল সরকার কোভিড-১৯ এর ধাক্কা সামলে উঠতে টরন্টোকে ২০২০ ও ২০২১ সালে সহায়তা দিয়েছিল। কিন্তু গত বছর আনর সে পথে হাঁটেনি। টরন্টো বাজেট সহায়তা না পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ অস্থিতরতার সৃষ্টি হয়। গত সপ্তাহে ১৬ বছর বয়সী এক তরুণ গুরুতর ছুরিকাঘাতের শিকার হন। সম্প্রতি টিটিসিতে যেসব সহিংসতার ঘটনা ঘটছে এটি সেগুলোর মধ্যে সর্বশেষ ঘটনা। নগরীতে গৃহহীনতা ও মানসিক অসুস্থতাও চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। নগরীতে বর্ধিত এই সহিংসতার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন অনেকে।
এদিকে আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ংয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী দশকে সিটি ৪ হাজার ৬৫০ কোটি ডলার বাজেট ঘাটতিতে পড়তে পারে। তবে কোভিড-১৯ এর কারণে সম্ভাব্য ঘাটতি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি প্রতিবেদনে।