কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার চর বলদিয়া গ্রামের মোজাহার আলী ব্যাপারী। ছোট বেলায় ভারতে গিয়ে দালালের খপ্পরে পড়ে বিক্রি হয়ে যান। সেখানে গিয়ে পাহাড়িদের সঙ্গে থাকতে হয়। ঠিকমত খাবার পেতেন না। পেটের তাগিদে সাপ, বিচ্ছু, ইঁদুর, ব্যাঙ খাওয়া শুরু করেন। সেই থেকে বিভিন্ন প্রজাতির পোকামাকড় খাওয়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে তার। সেই অভ্যাস এখন তার নেশায় পরিণত হয়েছে।
১৫ বছর ধরে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ, ব্যাঙ, ইঁদুর, বিচ্ছু ও কাঁচা গরুর মাংস খেয়ে আসছে মোজাহার আলী। তার দুই স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে। সেই ছেলের ঘরে দুই নাতিও আছে।
মোজাহার আলী বলেন, ‘ছোট বেলায় ভারতে বেড়াতে গিয়ে দালালের খপ্পরে পড়ে বিক্রি হয়ে যায়। পরে নারায়ণপুর নামক এলাকায় পাহাড়িদের সঙ্গে বাস করতে থাকি। সেখানে থাকা অবস্থায় পেটের তাগিদে সাপ, বিচ্ছু, ইঁদুর, ব্যাঙ খাওয়া শুরু করি। সেই থেকে এ সব খাওয়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিষধর সাপের পেটে কৃমি থাকে না। এ কারণে বিষধর সাপের স্বাদ অনেক বেশি। সাপ না খেলে শরীরে এনার্জি আসে না। সাপ দেখলে মন মানে না। এটা আমার নেশায় পরিণত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সাপ ধরতে আমার ডাক পড়ে। যখন সাপ পাওয়া যায় না, তখন গরুর কাঁচা মাংস খায়।’
স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ, বিচ্ছু, কাঁচা গরুর মাংস, ভুঁড়ি ও ইঁদুর, খেয়ে আসছেন মোজাহার। তবে এখন স্বাভাবিক খাবার খাওয়ার চেষ্টা করছেন।
খয়বর মোবারক বলেন, ‘মোজাহার আমাদের প্রতিবেশী। বিভিন্ন সময় তিনি সাপ খেয়ে থাকেন। তার এ রকম অদ্ভুত খাদ্যাভ্যাস দেখতে সবাই মজা পায়।’
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মির্জা নাসির উদ্দীন (প্রাণি ও উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞ) জানান, সাপ-বিচ্ছু খাওয়া বিরল ঘটনা না। তবে সাপ খেয়ে যেকোনো সময় তিনি মারা যেতে পারেন। তবে তিনি মানসিক রোগী কিনা তা যাচাই করে দেখা দরকার।