
ইতোমধ্যে এ ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে
তোপের মুখে পড়েছেন তিব্বতী বৌদ্ধদের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা। সম্প্রতি তার এক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। খবর এনডিটিভির। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দালাই লামা এক শিশুর ঠোঁটে চুমু দিচ্ছেন। এরপর ওই শিশুকে জিহ্বা চুষতে বলেন দালাই লামা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই শিশু যখন দালাই লামাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করছিলেন, তখন দালাই লামা তার ঠোঁটে চুমু দেন। এরপর দেখা যায়, বৌদ্ধদের আধ্যাত্মিক এ নেতা তার জিহ্বা বের করছেন। ওই শিশুকে বলেন, ‘তুমি কি আমার জিহ্বা চুষে দিতে পারবে।’ এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর টুইটারে অনেক ব্যবহারকারী তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এর আগে ২০১৯ সালে তোপের মুখে পড়েন দালাই লামা
ভিডিওটি শেয়ার করে জুস্ট ব্রোকার লিখেছেন, ‘বৌদ্ধদের এক অনুষ্ঠানে দালাই লামা এক ভারতীয় শিশুকে চুমু দিলেন। এমনকি তার জিহ্বাও স্পর্শ করতে চাইলেন। তিনি আসলে তার জিহ্বা চুষতে বলেছেন। তিনি এটা কেন করবেন?’
জাস ওবেরই নামের আরেক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেন, ‘আমি এটা কী দেখছি। এটা কি দালাই লামা? পেডোফিলিয়ার জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হোক। বিরক্তিকর।’
এর আগে ২০১৯ সালে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ৮৭ বছরের এ ধর্মগুরু। তিনি সেই সময় বলেছিলেন, তার উত্তরসূরি যদি নারী হয় তাহলে তাকে আকর্ষণীয় হতে হবে।
দালাই লামা বলেছিলেন, যদি একজন নারী দালাই লামা আসে, তাহলে তাকে অনেক আবেদনময়ী হতে হবে। এমন মন্তব্যের কারণে তীব্র তোপের মুখে পড়া আধ্যাত্মিক এ নেতা পরবর্তীতে ক্ষমা চান।
তিব্বতে চীনা অভিযানের মুখে ১৯৫৯ সালে জন্মভূমি ছেড়ে ভারতে পালিয়েছিলেন দালাই লামা। সেই সময় তার বয়স ছিল ২০ বছরের কোঠায়। পরে ভারত সরকার তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয় এবং তিনি আবাস গড়েন উত্তরাঞ্চলীয় শহর ধর্মশালায়।