
একটি পুরান পেচাল !!
শুধু নামে, কামে বা মুখেই কি মুসলমান হতে হবে নাকি অন্তরেও!!!!
রোজা বা ঈদে পণ্যের দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা না করলেই কি নয় !!
আমার Adapted Country কানাডাতে মুসলমানদের সংখ্যা খুব বেশি না, দেশটি তো আসলে খ্রিস্টান প্রধান, কারণ এদেশের প্রথম অভিবাসীরা ছিলেন ইউরোপের তাই তারা তাদের সাথে করে খ্রিস্টান ধর্ম নিয়ে এসেছিলেন, যেমনটি মুঘলরা আমাদেরকে ইসলাম আমদানি করেছিল। তবে বর্তমানে বছরের পর বছর ইমিগ্রান্টদের আনার কারণে এখন কানাডাতে অন্যান্য দেশ এবং ধর্মের লোকও অনেক আছে। এর মধ্যে মুসলমানও আছে অনেক, তবে সংখ্যালঘু।
কিন্তু বেশ কিছু বছর ধরে দেখে আসছি যে, খ্রিস্টান প্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও এখানে রোজা বা ঈদের আগে গ্রোসারি দোকানগুলিতে অনেক পণ্যের ছাড় দেয়, অর্থ্যাৎ অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে দেন, আর আমার জন্মদেশ বাংলাদেশে রোজা বা ঈদ আসলেই জিনিসের দাম বাড়ে। যদি আল্লাহ তালার উপর বিশ্বাস থাকে এবং অন্তর খাঁটি রেখে এই সময়টাতে বিশেষ করে রোজার সময় বিশেষ কিছু পণ্যের দাম একটু কমালে ওই সমস্ত ব্যাবসায়ীদের কি ভরাডুবি হবে !! আর যদি নাই কমান, অন্তত না বাড়ালেই হলো। আমি জানি অনেকেই অনেক যুক্তি খাড়া করবেন, কিন্তু মাত্র এক মাসের জন্য এই অতিরিক্ত মুনাফা লাভের লালসার কোনো যুক্তিই আমার কাছে গণ্য নয় !
শুধুমাত্র নাম মুসলমান হলেই হয় না, অন্তরেও থাকতে হয় তাহলেই সৃষ্টিকর্তা তার দয়ার ভান্ডার খুলে দিবেন, ওই অতিরিক্ত মুনাফা নিয়ে ভাবতে হবে না। আমি মনে হয় বছর দুই আগে আমেরিকার ওয়াশিংটন শহরের একজন মুসলমান রেস্টুরেন্ট মালিকের কথা লিখেছিলাম যিনি প্রতিদিন লাঞ্চের পরে একটি নিদৃষ্ট সময়ে ওখানকার Homeless মানুষদের বিনামূল্যে খাবার দেন, এবং এই কাজটি উনি অনেক বছর ধরে করে আসছেন, এর কারণে আল্লার রহমতে উনার ব্যাবসার কোনো লস বা ক্ষতি হচ্ছে না, বরং উনি খুব ভালো আছেন এবং ব্যাবসাও ভালো চলছে।
দেশে কতশত আন্দোলন, কত চিল্লাচিল্লি, রাস্তায় নামা, জ্বালাও পোড়াও ইত্যাদি হয় কিন্তু এই বিষয়ে কেউ তেমন কোনো কথা বলেন না। প্রতি বছরেই রোজার আগে কিঞ্চিৎ লেখালেখি আর আলোচনা হয়, আবার তা হারিয়ে যায়। কাজের কাজ কিছুই হয় না।
আল্লাহর রহমত যেন সবার অন্তরে বর্ষিত হয়। আমিন !!!!
স্কারবোরো, কানাডা