
কর্নেল ও রয়্যাল কানাডিয়ান এয়ার ফোর্সের সিএফ-১৮ পাইলট জেরেমি হ্যানসেন মহাকাশ ও চাঁদের কক্ষপথ ভ্রমণের জন্য প্রথম কানাডিয়ান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। নাসা ও কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি দীর্ঘ প্রতিক্ষিত এই নাম সোমবার ঘোষণা করে। চাঁদে দীর্ঘদিন অবস্থানের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার অংশ হতে যাচ্ছেন যে চার নভোচারী তাদের নামও এদিন ঘোষণা করা হয়।
আরটেমিস ২ এর অন্য তিন নভোচারীর সবাই আমেরিকান। তারা হলেনÑক্রিস্টিনা হ্যামোক কোচ, ভিক্টোর গ্লোভার এবং জি. রেইড ভাইজম্যান।
নাসার ফ্লাইট ডিরেক্টর অফিসের প্রধান নর্ম নাইট বলেন, একটি গ্রুপ থেকে চারজনকে বেছে নেওয়া সত্যিই খুব কঠিন। মহাকাশে তারাদের মধ্যে মানবকজাতি যা দেখতে চায় তা খুঁজে পেতে তারা অগ্রদূত হিসেবে কাজ করবেন।
২০২৪ সালের নভেম্বরে আরেটেমিস ২ উৎক্ষেপনের কথা রয়েছে। ১৯৭২ সালে অ্যাপোলোর চূড়ান্ত চন্দ্র অভিযোনের পর এটাই হতে যাচ্ছে চাঁদে প্রথম অভিযান।
নাসার জনসন স্পেস সেন্টারের পরিচালক ভানেসা ই. উইচ বলেন, নাসা ও এর অংশীজনদের কয়েক বছর ধরে কঠোর পরিশ্রমের ফল হচ্ছে এই অভিযান।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, প্রথম কানাডিয়ান হিসেবে, প্রথম অ-আমেরিকান হিসেবে চাঁদের বুকে পা রাখার মধ্য দিয়ে নতুন ইতিহাস লিখবেন হ্যানসেন। চন্দ্র অভিযানে কানাডিয়ানকে বেছে নেওয়ায় আমি সত্যিই খুবক উত্তেজিত। আমাদের জন্য এটা বড় ঘটনা। হ্যানসেনকে তিনি ব্যতিক্রমী একজন মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
কানাডার চার সদস্যেল যে অ্যাস্ট্রোনট কোর অন্টারিওর লন্ডনের বাসিন্দা ৪৭ বছর বয়সী হ্যানসেন তার অন্যতম সদস্য।