
কানাডায় সরবারহ করা ভ্যাকসিনের মধ্যে ২ কোটি ২০ লাখ ডোজ এখনও ব্যবহার করা হয়নি। এর মধ্যে জাতীয়ভাবে মজুদ করা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ডোজ এবং ১ কোটি ১৭ লাখ ডোজ রয়েছে বিভিন্ন প্রদেশ ও আঞ্চলিক সরকারের কাছে, যা তারা ব্যবহার করেনি। ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী ২ কোটি ৩৬ লাখ বা ৭১ দশমিক ৩ শতাংশ কানাডিয়ান উভয় ডোজ ভ্যাকসিনই নিয়েছেন।
এরই মধ্যে মডার্নার কাছ থেকে আগামী দুই বছরে আরও ৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেনার ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ম্যাসাচুসেটসভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তির কথা টুইটারে জানান তিনি, যা ২০২৪ সাল পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারে। প্রয়োজন হলে ৬ কোটি ৫০ লাখ ডোজ কেনার সুযোগও অটোয়ার সামনে রয়েছে বলে জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে প্রথম দেশ হিসেবে কানাডায় ভ্যাকসিন উৎপাদনের লক্ষ্যে গত সপ্তাহের শুরুর দিকে ফেডারেল সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে মডার্না। প্রকল্পটির জন্য কানাডা কি পরিমাণ অর্থের জোগান দিচ্ছে সেটি এখনও পরিস্কার নয়।
১২ বছর ও তার বেশি বয়সী নাগরিকদের ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার মতো পর্যাপ্ত সংখ্যক ভ্যাকসিন কানাডার হাতে রয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভ্যাকসিন নেওয়ার হার অনেকটাই কমে এসেছে। সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়ে গেছে বলে দেশের প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছ থেকে বার্তা পাওয়ার সরকারের পক্ষ থেকে সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম বলেন, অতিমাত্রায় সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই চতুর্থ ঢেউ। নতুন করে আক্রান্তদের বেশিরভাগই ভ্যাকসিনেশনের বাইরে থাকা মানুষ। জাতীয়ভাবে বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১৩ হাজারের বেশি, যা দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় দ্বিগুণ।