
শেখ হাসিনা ১৫ দিনের সফরে আছেন এখন। এই ১৫ দিনের সফরে তিনি বিভিন্ন দেশে যাবেন।
এই সফর নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে দেখলাম বিভিন্ন আলাপ-আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশে গঁজিয়ে উঠা বিভিন্ন অনলাইন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের এই সফর নিয়ে বড় বড় বিশ্লেষণ দেখলাম। এই সব বিশ্লেষণ বেশির ভাগ স্পেকুলেটিভ।
সমস্যা হচ্ছে, এই সব ব্যাঙের ছাতার মতো গঁজিয়ে উঠা রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বেশির ভাগ দলিয় দৃষ্টিভংগি,দলিয় ভাবনা থেকে সব কিছু বিশ্লেষণ করে থাকে। যিনি আওয়ামী লীগের পক্ষের বিশ্লেষক তিনি খুব স্বাভাবিক ভাবেই আওয়ামী লীগের অনূকূলেই তার বিশ্লেষণ দিয়ে থাকেন। আর যিনি বিএনপির পক্ষের বিশ্লেষক তিনি বিএনপির অনূকূলে তার বিশ্লেষণ দিয়ে থাকেন।
এমন একটি পরিস্থিতিতে কোন সঠিক বিশ্লেষণ কি পাওয়া সম্ভব?
অনেক বিশ্লেষক দেখলাম বলার চেষ্টা করছেন, নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার এই ১৫ দিনের সফর বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অনেক বিশ্লেষক দেখলাম বলার চেষ্টায় আছেন, একটু বিরূপ হয়ে থাকা বাইডেন সরকারকে শেখ হাসিনা মানাবার শেষ চেষ্টা চালাবেন।
অথচ শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে।
এটি রাষ্ট্রপ্রধান টু রাষ্ট্রপ্রধানের কোন সরকারী সফর নয়। এখানে কোন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তি স্বাক্ষরও হবে না। তাহলে কিভাবে কি মানাবার চেষ্টা হচ্ছে ঠিক বুঝলাম না। এটা কি এমন যে অপ্রকাশ্যে আন্ডারহ্যান্ড কিছু হতে পারে?
আর এই সব বিশ্লেষকদের আগ বাড়িয়ে এত স্পিকুলেশনের কি আছে?
যা হবে তা তো নিশ্চয়ই পরে জানা যাবে।
এই রকম অগ্রসরমান সোস্যাল মিডিয়ার যুগে গোপনে কিছু হবে আর কেউ জানতে পারবে না। এমনটি ভাবা খুব বালখিল্যপনা।
বাংলাদেশে এই সব রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের শ্রোতার সংখ্যা নেহায়েত কম নয়।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই শ্রোতারাও দুই দলে বিভক্ত। ফলে শ্রোতারাও তাদের দলিয় ভাবনা তাড়িত হয়ে তাদের নিজেদের পছন্দের বিশ্লেষক বেছে নেন। এখানেও দেখা যাচ্ছে, নিরপেক্ষতার খুবই আকাল।
তাই শেখ হাসিনা এই সফর থেকে কি এমন হাতি ঘোড়া নিয়ে আসবেন তা সময়ই বলে দিবে।এই সফর নিয়ে আগ বাড়িয়ে আগডুম বাগডুম চিন্তা করার কোন মানে হয় না।