0 C
Toronto
সোমবার, মার্চ ১৭, ২০২৫

পাগলা মসজিদে এবার মিলল রেকর্ড পরিমাণ টাকা

পাগলা মসজিদে এবার মিলল রেকর্ড পরিমাণ টাকা
পাগলা মসজিদে দানসিন্দুকের টাকা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানসিন্দুক থেকে এবার ১৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। শনিবার রাত সোয়া ৯টা গণনা শেষ হয়। এবার রেকর্ড ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা পাওয়া গেছে। টাকা ছাড়াও দানসিন্দুকে মিলেছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণ ও রুপার অলংকার।

পাগলা মসজিদে লোহার আটটি দানসিন্দুক রয়েছে। তিন মাস পরপর এসব সিন্দুক খোলার কথা। তবে পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরের কারণে এবার চার মাসের মাথায় খোলা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী ও মসজিদ কমিটির অন্য সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে গতকাল সকাল ৮টায় সিন্দুকগুলো খোলা হয়। টাকাগুলো প্রথমে সিন্দুক থেকে বস্তায় ভরা হয়। মসজিদের দোতলার মেঝেতে ঢেলে ইসলামিক কমপ্লেক্সের ছাত্র-শিক্ষক মুদ্রার মান অনুযায়ী টাকা বাছাই শুরু করেন। এসব টাকা রূপালী ব্যাংকের ডিজিএম শাহীদুর রহমান ও এজিএম রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ব্যাংকের স্টাফরা কাউন্টিং মেশিনে গণনা করেন। জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র পারভেজ মিয়া গণনার কাজ পরিদর্শন করেন।

- Advertisement -

মসজিদ কমিটির সদস্য আতাউর রহমান জানান, এসব টাকা রূপালী ব্যাংকে মসজিদের হিসাবে জমা করা হবে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ জানান, এবার টাকার সঙ্গে কিছু চিঠি এবং চিরকুটও পাওয়া গেছে। কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীতীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর গড়ে উঠেছিল মসজিদটি। এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য।

মসজিদকে কেন্দ্র করে অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবনও। মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। এর আগে গত ৭ জানুয়ারি দানসিন্দুকে পাওয়া গিয়েছিল ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা। সঙ্গে ছিল বিদেশি মুদ্রা এবং স্বর্ণ-রুপার অলংকার।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles