
১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ওপর প্রয়োগের জন্য ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত অনুমোদন করেনি কানাডা। তবে যাদের ওপর প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তাদেরকে এর আওতায় আনতে সরকারের প্রতি জোর সুপারিশ করেছেন কিডার। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি প্রিমিয়ার ও মন্ত্রীরা আমাদের আহ্বান শুনছেন। ভ্যাকসিন নীতিতে পরিবর্তন আনা কঠিন কিছু নয়। স্কুল খোলার এখন দুই সপ্তাহ বাকি আছে এবং স্কুল ভ্যাকসিনেশন সেন্টার চালুর মধ্য দিয়ে ভ্যাকসিনেশনের উপযোগী সব শিশুকে এর আওতায় আনার জন্য সময়টা যথেষ্ট। অভিভাবকরা যদি জানেন যে, স্কুলেই প্রত্যেকে ভ্যাকসিন নিতে পারবে তাহলে সেটা তাদের জন্য অনেক বেশি স্বস্তিদায়ক হবে।
এদিকে, শ্রেণিকক্ষে পাঠ নিতে প্রাথমিক ও সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের যেসব রোগের প্রতিষেধ বা ভ্যাকসিন নেওয়া বাধ্যতামূলক কোভিড-১৯কেও তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে ফোর্ড সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। পিপল ফর এডুকেশন নামে একটি সংস্থা এই আহ্বান জানিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী স্টিফেন লেচি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস্টিন এলিয়টের কাছে লেখা এক চিঠিতে সংস্থাটি দ্রুত ইমিউনাইজেশন অব স্কুল পিউপিস অ্যাক্টের আওতায় কোভিড-১৯কে তালিকাভুক্তির আর্জি জানিয়েছে। ফোর্ড সরকার যখন শিক্ষা কর্মীদের জন্য পূর্ণাঙ্গভাবে ভ্যাকসিনেটেড হওয়া অথবা নিয়মিত কোভিড-১৯ পরীক্ষার নীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে ঠিক সেই সময় এই দাবি উঠলো।
পিপল ফর এডুকেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যানি কিডার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, বিষয়টি জরুরি। কারণ, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ৭০ শতাংশেরও কম ভ্যাকসিন ডোজ সম্পূর্ণ করেছে এবং শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরতে দুই সপ্তাহের কিছু বেশি সময় হাতে আছে। স্কুল নিরাপদ রাখতে সম্ভাব্য সব কিছুই যে করা হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের পরিবার ও শিক্ষা কর্মীদের সেই নিশ্চয়তা দেওয়াটা জরুরি।
এপ্রিল থেকে অন্টারিওর সরকারি স্কুলগুলোতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ রয়েছে এবং সংক্রমণ বাড়তে থাকার মধ্যেই এই মাসে স্কুলগুলো খুলতে যাচ্ছে।