
কনজার্ভেটিভ এমপিকে হুমকির ঘটনায় চীনা কূটনীতিককে বহিস্কারের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে চীনের প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন সরকারের। সেই সঙ্গে কানাডার নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে এর প্রভাব কী পড়ে সেটাও বিবেচনায় নেওয়া দরকার।
লন্ডনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এটা খুবই গুরুগম্ভীর ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। সিদ্ধান্তটি হালকাভাবে নেওয়া উচিত হবে না এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এটা গভীরভাবে দেখছেন।
কনজার্ভেটিভ এমপি মাইকেল চঙ্গ তাকে হুমকির বিষয়টি মাত্রই গত সপ্তাহে জানতে পারেন। তাও গ্লোব অ্যান্ড মেইল এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে সিএসআইএসের কাছে এই তথ্য ছিল যে, চীন সরকার তাকে এবং হংকংয়ে তার সম্প্রসারিত পরিবারকে ভয় দেখানোর উপায় খুঁজছে।
উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীন সরকারের কর্মকা-কে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে হাউস অব কমন্সে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন চঙ্গ।
প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেন, সিএসআইএস গোয়েন্দা সংস্থার বাইরে কাউকে এই হুমকির বিষয়টি জানায়নি। তবে চঙ্গ বলেন, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর এই তথ্যের বিষয়টি জানতেন বলে তাকে জানিয়েছেন।
জাস্টিন ট্রুডো বলেন, প্রত্যেক হুমকির বিষয়ই কি আমার ডেস্কে আসবে? তার প্রয়োজন নেই। কিন্তু মন্ত্রী ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিষয়টি মূল্যায়ন করে দেখা প্রয়োজন। কোনো হুমকি বিশ^াসযোগ্য মনে হলে সে ব্যাপারে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। আগে এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা ছিল না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেছেন, কানাডা যদি চীনা কূটনীতিককে বহিস্কার করে সেক্ষেত্রে চীনের দিক থেকে পাল্টা কী পদক্ষেপ আসতে পারে সেটা মূল্যায়ন করে দেখছেন তিনি। কূটনীতিক বহিষ্কারের ফলাফল কী হতে পারে আমরা তা মূল্যায়ন করে দেখছি। কারণ, অবশ্যই এর একটি পরিণাম রয়েছে।
পাল্টা পদক্ষেপ কী হতে পারে? রোববার সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ট্রুডো বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই চীন কানাডিয়ানদের আটক করে রেখেছে। সেই সঙ্গে ক্যানোলা ও শুকরের মাংসের মতো পণ্য কানাডা থেকে আমদানি কমিয়েছে তারা।