
দাবানলের কারণে যেসব ব্যক্তি বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আলবার্টা সরকার। প্রদেশের অনেক এলাকা এখনো দাবানলের হুমকিতে রয়েছে।
ফেডারেল সরকারের কাছেও সহায়তা চেয়েছে প্রদেশ। প্রিমিয়ার ড্যানিয়েলে স্মিথ বলেছেন, লুটতরাজ বন্ধে ও উদ্ধার করা কমিউনিটির মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা প্রয়োজন। এটা যে চ্যালেঞ্জিং সময়, এ ব্যাপারে কারো মধ্যে কোনো প্রশ্ন নেই। বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়েছেন এবং চাকরি হারিয়েছেন। সবকিছু হারিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে তারা।
সোমবার পর্যন্ত প্রায় ১০০টি আগুন সক্রিয় ছিল। এবারের আগুন তুলনামূলকভাবে মৌসুমের আগেই দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ৪০৫টি অগ্নিকা-ের ঘটনায় প্রায় ৪ লাখ হেক্টর জমি পুড়ে গেছে। আলবার্টা সরকারের ওয়েবসাইটে এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। গত বছর এই সময় ১৮০টি অগ্নিকান্ডে ভষ্মিভূত হয়েছিল ৪১৭ হেক্টর জমি।
সাম্প্রতিক কয়েকদিনে এক ডজনের বেশি কমিউনিটির প্রায় ২৯ হাজার মানুষকে তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালের রোগী এবং লং-টার্ম কেয়ার হোমের বাসিন্দা রয়েছেন প্রায় ৩০০ জন। প্রদেশের ৫৪টি স্কুলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এডসনে উদ্ধারের নির্দেশ রোববার প্রত্যাহার করা হয়েছে। এডমন্টনের পশ্চিমের এই শহরে প্রায় ৮ হাজার ৪০০ জন বসবাস করেন। যদিও আশপাশের কিছু এলাকায় এখনো আগুন জ¦লছে। উত্তর আলবার্টার লিটল রেড রিভার ক্রিক নেশনের ৪০টির বেশি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর বেশিরভাগই বাড়ি।
কমিউনিটির ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট কমিউনিকেশন্সের সমন্বয়ক ড্যারিল সোয়ান বলেন, গত সপ্তাহে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার আদেশ দেওয়ার পর প্রায় ৩ হাজার ৭০০ জন দ্রুত অন্যত্র চলে যান।
এই কমিউনিটিতে কোনো রাস্তা নেই। তাই লোকজনকে নৌকা ব্যবহার করতে হয়। আিধকতর ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের আকাশপথে সরিয়ে নেওয়া হয়।
কমিউনিটির ফায়ারফাইটার ব্র্যাড দেসারলেইস বলেন, হাই রিভারের কাছে ইস্ট প্রেইরি মেটিস সেটেলমেন্টের প্রায় ১৪টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। এলাকাটি এখন খুবই শুষ্ক, বিশেষ করে ঘাস। এ কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আগুন অনেক দ্রুত ছড়াচ্ছে।