
তার সরকার নির্বাচনী সংস্কারের দিকে এগোবে বলে মনে করেন না প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। যদিও তার দল বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখতে একটি ন্যাশনাল কাউন্সিল গঠনের আহ্বান জানিয়ে আসছে।
এ সপ্তাহান্তে তৃণমূলের লিবারেলরা একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। প্রস্তাবে নির্বাচনী সংস্কারে একটি ন্যাশনাল সিটিজেন’স অ্যাসেম্বলি গঠনের দাবি জানানো হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকেই প্রস্তাবটি দলের মধ্যে ছিল। ২০১৫ সালের নির্বাচনে জাস্টিন ট্রুডো জয়লাভও করেন বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে।
লন্ডনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, তিনি এখন অর্থনীতির মতো বিষয়েই বেশি মনোযোগী। আরেকটি মডেলের ব্যাপারে ঐকমত্য হলে তিনি নির্বাচনী সংস্কারের বিষয়টি এগিয়ে নেবেন।
তিনি বলেন, গত বছর লিবারেলদের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির অংশ হিসেবে এনডিপি নির্বাচনী সংস্কারের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু র্যাঙ্কড ব্যালট নাকি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব গ্রহণ করা হবে সে ব্যাপারে দুই দল মতৈক্যে পৌঁছাতে পারেনি। এখনো তিনি র্যাঙ্কড ব্যালটের পক্ষে। কিন্তু তার সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার ব্যবহার করে কানাডিয়ানদের ওপর ব্যবস্থাটি চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না বলে যুক্তি দেন তিনি। ব্যালটের মাধ্যমে কানাডিয়ানদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পছন্দ বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়াটা হবে চমৎকার। আমার বিশ^াস, কোনো একদিন আমি এ ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দলীয় সদস্যদের প্রস্তাবটি আমলে নেবে না। প্রস্তাবে সম্ভাব্য সব বিকল্প খুঁজে দেখে সংসদকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দলীয় একটি প্রতিষ্ঠান খোঁজার কথা বলা হয়েছে।
ট্রুডো বলেন, কিন্তু কথা হলো কোনো ঐকমত্য হয়নি। আমি এখন সেই বিষয়ের ওপরই বেশি মনোযোগ দিতে চাই যেগুলো কানাডিয়ানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।