
বিদেশি হস্তক্ষেপের চেষ্টার ব্যাপারে দলের আরও বেশি সদস্যকে যাতে অবহিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সেই আহ্বান জানিয়েছেন এনডিপি নেতা জাগমিত সিং। কনজার্ভেটিভ ও ব্লক কুইবেকোয়িসের নেতাদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ছাড়পত্র না দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেছেন, ব্রিফিংয়ে দলের যেসব সদস্য তার সঙ্গে থাকবেন তাদের ক্ষেত্রে এটা চান তিনি।
এ ছাড়া গোয়েন্দা তথ্য পর্যালোচনা শেষে তিনি কতখানি বলতে পারবেন এবং কতখানি বলতে পারবেন না সে ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কাছে জানতে চেয়েছেন জাগমিত সিং। তিনি বলেন, আমাকে যেসব গোয়েন্দা তথ্য পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে তার ভিত্তিতে ইচ্ছামতো কথা বলার সুযোগ পাবো বলে আমি আশা করছি। সরকারের কার্যক্রমের ব্যাপারে সমালোচনা করা থেকে আমাকে নিবৃত করা হবে না বলেই আমার বিশ^াস। এ ব্যাপারে আমি লিখিত নিশ্চয়তা চাইছি।
চিঠিটি তারা পর্যালোচনা করে দেখছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র। টরি নেতা পিয়েরে পয়লিয়েভর ও ব্লক নেতা ইভস-ফ্রাসোয়াঁ ব্লাশেঁ উভয়েই ট্রুডোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। জনগণের প্রতি বশ্যতার ব্যাপারে কথা না বলার ব্যাপারে তাদেরকে রাজি করানোকে ফাঁদ হিসেবে দেখছেন তারা।
স্পেশাল র্যাপোর্টার ডেভিড জনস্টন মঙ্গলবার তার প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলেছেন, ২০১৯ ও ২০২১ সালের ফেডারেল নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের অভিযোগের বিষয়ে তিনি কী সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তার দেখার সুযোগ বিরোধীদলকে দেওয়া উচিত। যারা সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স পেয়েছেন কেবল তাদেরকেই গোপন তথ্য দেওয়া হবে।
বিরোধীদলের নেতারা জনস্টনের প্রতিবেদন নিয়ে তাদের অসন্তোষের কথা এরই মধ্যে প্রকাশ করেছেন। কারণ, বিদেশি হস্তক্ষেপের গস তদন্তের বিরুদ্ধে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। যদিও তিনি নিজেই কিছু গণশুনানি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
সাবেক এই গভর্নর জেনারেল বলেন, আরও তথ্য প্রকাশ করলে তা প্রতিরক্ষা মিত্রদের সঙ্গে কানাডার বিশ্বাসভঙ্গের ঝুঁকি তৈরি করবে। সেই সঙ্গে গোয়েন্দা সূত্রগুলো বিপদে পড়বে।
কনজার্ভেটিভরা বলছেন, জাগমিত সিং লিবারেল সরকারকে গণ তদন্তে বাধ্য করতে পারেন। কারণ, এনডিপি কনফিডেন্স অ্যান্ড সাপ্লাই চুক্তির আওতায় লিবারেল সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
জাগমিত সিং তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, গণ তদন্ত কানাডার প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর আস্থা তৈরি করবে। গত দুটি ফেডারেল নির্বাচনে চীনের হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার এই অনাস্থা তৈরি হয়েছে।
জনস্টনের প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাম প্রকাশ না করে জাতীয় নিরাপত্তা সূত্রগুলো ও গোপন নথির বরাত দিয়ে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বিশ^াসযোগ্যতার ঘাটতি রয়েছে।